বিজেপি আসলে বাংলা বিরোধী। বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অথচ সোনালির বাবা ও মা, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত! যা প্রমাণ করে সোনালি খাতুন (sonali khatun) ভারতেরই একজন বৈধ নাগরিক। এই ঘটনায় বিজেপিকে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অর্থাৎ বাংলা এবং বাংলার জনগণের উপর অকারণে চাপ সৃষ্টি করা। সিইও ওয়েস্ট বেঙ্গল পোর্টালে উপলব্ধ ভোটার তালিকায় বীরভূমের মুরারাই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে ভোদু শেখ এবং জ্যোৎস্না বিবিকে দেখানো হয়েছে। দম্পতির ভোটকেন্দ্র ছিল পাইকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুম নং ৩। তালিকায় ভোদুর বাবার নাম হাতিম তাই শেখ উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নিয়ে বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতা! জগন্নাথের সাসপেনশন দাবি অভিষেকের
২৬ বছর বয়সী সোনালিকে (sonali khatun) জন্মসূত্রে ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হলে, নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজনকে সেই সময়ে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। দিল্লি পুলিশ ২১ জুন সোনালি, তাঁর স্বামী দানিশ শেখ এবং তাদের ৮ বছর বয়সী ছেলেকে কেএন কাটজু মার্গ থেকে গ্রেফতার করে, আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি থাকা সত্ত্বেও তাদের অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
বিজেপিকে আরও একবার তোপ দেগে এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে,”প্রমাণ স্পষ্ট, বাংলার মানুষকে অপমান করতে ও আতঙ্কে রাখতেই বিজেপির এই SIR অভিযান। অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে অনুপ্রবেশকারী বলে অন্য দেশে নির্বাসিত করার ঘটনা আবারও স্পষ্ট করল – বিজেপি আসলেই বাংলা-বিরোধী।”
গত ২৬ সেপ্টেম্বর, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন-সহ ছ-জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। এই নিয়ে মামলা হওয়ায় উচ্চ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ওঁরা ভারতীয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ওঁদের দেশে ফেরাতে হবে কেন্দ্রের সরকারকে। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ। তার পরেও তাঁদের ভারতে ফেরানো হয়নি।ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে ফেরত আনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও মানবিক তৎপরতা দেখায়নি।

