প্রতিবেদন : ব্রিটিশ আমলের ১৫০ বছরের পুরনো মাস্টার প্ল্যান। দীর্ঘ বাম জমানায় কলকাতা মহানগরীর ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থার মাস্টার প্ল্যানের কোনও আধুনিকীকরণই হয়নি। শুধু তাই নয়, সংযুক্ত আরও ৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য কোনও মাস্টার প্ল্যান তৈরিই হয়নি। ফলে কলকাতার জলনিকাশি ব্যবস্থা জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে বাম শাসনে। তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে এসে ১০ বছর ধরে এই জটটাই একে একে খুলে চলেছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাহিদা মেনে।
আরও পড়ুন-করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় তৈরি স্বাস্থ্য দফতর
এবারে নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ১৪৪টি ওয়ার্ডেরই অত্যাধুনিক মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে চান নিকাশি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিং। এরমধ্যে ৫০টি ওয়ার্ডের প্ল্যান হাতে এসে যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন তারক সিং নিজেই। ২০১৫ থেকেই নিকাশির দায়িত্বে তিনিই। শপথ নিয়েই দফতরের পদস্থ আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মহানগরীর কিছু পকেটে জলজমা সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে।
আরও পড়ুন-স্কুলে ভ্যাকসিন ৩ জানুয়ারি
মেয়র পারিষদের কথায়, আগে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া-সহ বহু রাস্তায় নৌকা চলত, গাড়ির ইঞ্জিন অচল হয়ে যেত। আজ কিন্তু সেই সমস্যা নেই। বেহালা, যাদবপুর এলাকার কিছু পকেট পরিদর্শন করে মেট্রো রেলের সঙ্গে কথা বলে নিকাশির সমাধান করছি। সমন্বয় রাখা হচ্ছে সেচ দফতরের সঙ্গেও। শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকায় ব্লোভ্যাক মেশিন এবং বাকেট মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পলি তোলা হচ্ছে ম্যানহোল, গালিপিট থেকে।
পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮। মার্কাস স্কোয়ার, খিদিরপুর নবাব আলি পার্ক, চেতলা, যাদবপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তৈরি হচ্ছে নতুন পাম্পিং স্টেশন। শহরে পাম্পের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪২৩। সব মিলিয়ে জলজমা সমস্যা থেকে মহানগরীকে সম্পূর্ণ মুক্ত করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।