দেশে জন্মালেই ভোটাধিকার মিলবে! শাহর মন্তব্যে বিতর্ক

Must read

প্রতিবেদন : ধিক্কার অমিত শাহ (HM Amit Shah)! আপনি আবারও এক ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে বসলেন দেশের নাগরিকদের নিয়ে। সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে আপনি বললেন— ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। যারা এই দেশে জন্মেছে, কেবল তারাই ভোট দেওয়ার অধিকার পাবে। তাই যদি হবে, তাহলে তো বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম লালকৃষ্ণ আদবানি বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরেরও ভোট দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত নয়। অমিত শাহজি, আপনার যুক্তি মানলে, সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়— যাঁদেরকে নাগরিকত্বের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত করে চলেছেন— তাঁরাও সকলেই বিদেশি। আপনাদের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বিদেশি, বিদেশি লালকৃষ্ণ আদবানিও! তাই নয় কি?

আরও পড়ুন-বিএসএফের দাদাগিরি, বাংলাদেশি সন্দেহে নদিয়ার এক কৃষককে নির্মম প্রহার

অমিত শাহর (HM Amit Shah) ওই অসাংবিধানিক ও ন্যক্কারজনক মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল তোপ দেগেছে, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে এসআইআর করা হচ্ছে না— এতেই পরিষ্কার, দেশের ভূগোল বা মানচিত্র সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও রাখে না বিজেপি। এখন দেখছি, ভারতের ইতিহাস সম্পর্কেও বিজেপির অজ্ঞতা একইরকম। আজকের ভারত গঠিত হয়েছে দেশভাগের পর— সেই বাস্তবতাই আমাদের জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করেছে। অমিত শাহর এমন হাস্যকর মন্তব্যের মানে দাঁড়ায় যে, যাঁরা দেশভাগের পরে ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং বৈধভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁরা সকলেই ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’, যাঁদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়! অমিত শাহর যুক্তি অনুযায়ী, পূর্ববঙ্গ থেকে আসা প্রতিটি বাঙালিই ‘অবৈধ অভিবাসী’। তাঁদের সন্তান, নাতি-নাতনি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাঁরা এই মাটিতে বড় হয়েছে, কাজ করেছে, দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে— তাঁদের ভোটাধিকারও নেই!
তৃণমূলের সাফ কথা, বাংলার প্রতিটি মানুষকে এই বিপজ্জনক খেলাটা বুঝতে হবে। বিজেপির লক্ষ্য একটাই— বাংলাকে বিভাজন করা, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং কোটি কোটি বাঙালিকে ‘অবৈধ’ বলে চিহ্নিত করা। প্রথমে অমিত শাহ তাঁর কো-অপারেশন মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিবকে দিয়ে এসআইআর চাপালেন। এখন তিনি নিজেই প্রশ্ন তুলছেন মানুষের নাগরিকত্বের ওপর। আমরা বহুবার বলেছি, এসআইআর আসলে এনআরসির বিকল্প রূপ, একেবারে গোপনে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের নাম করে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ফাঁদ। অমিত শাহ এদিন নিজের মুখে সেই সত্যিটা স্বীকার করে ফেললেন।

Latest article