গেরুয়া কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল গণমঞ্চ

Must read

প্রতিবেদন : বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এসআইআর-এর আতঙ্কে রাজ্যে পরপর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ছাব্বিশের নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ভোটার তালিকায় এই নিবিড় সংশোধনের নামে সাধারণ মানুষের মনে এইভাবে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশনের তীব্র নিন্দা করল দেশবাঁচাও গণমঞ্চ (Ganamancha)। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু-সহ গণমঞ্চের সদস্যরা। একইসঙ্গে কমিশনের আড়ালে কলকাঠি নেড়ে এসআইআর-এর মাধ্যমে ছদ্মবেশে এনআরসি চালুর চক্রান্ত নিয়ে আরএসএস এবং বিজেপিকেও তুলোধোনা করেন নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, সুমন ভট্টাচার্য, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সিদ্ধব্রত দাস, ড. ভাস্কর চক্রবর্তী-সহ অন্যরা। গণমঞ্চের পরিষ্কার দাবি, বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে পরিচালিত করতে হবে। একজনও বৈধ ভোটারকে বাদ দেওয়া যাবে না!

আরও পড়ুন-২০০০ টাকা দিলেই অবাধে সীমান্তপার বিজেপির ত্রিপুরায়!

গণমঞ্চের (Ganamancha) তরফে প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এদিন জানান, কোনও ভোটারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে, আগে তা নির্বাচন কমিশনকেই প্রমাণ করতে হত। আর এখন সেই দায় সরাসরি নাগরিকদের গায়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০০২ সালে যে এসআইআর-এর প্রক্রিয়া ছিল, তাকে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এখন যে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে, তা ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত! এসআইআর-এর নামে বাংলায় ঘুরপথে এনআরসি চালু করে বাঙালির ভোটাধিকারের উপর আঘাত হানার চক্রান্ত চলছে। আর নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে বিজেপির বাংলা-দখলের চেষ্টা আরও সহজ হচ্ছে! তাঁর প্রশ্ন, কমিশন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করছে, কাদের মদতে? অসমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাঙালি হিন্দুরা। মতুয়া, নমঃশূদ্র এবং মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছে। বাংলাতেও ম্যাপিং করে কি এটাই নির্দিষ্ট করা হচ্ছে যে কোথায় কোথায় নমঃশূদ্র, দলিত, মুসলিম থেকে শুরু করে গরিব মানুষরা আছে? দেশবাঁচাও গণমঞ্চের পরিষ্কার প্রশ্ন, ২০০২ সালের মতো ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু জ্ঞানেশ কুমারের এই ‘স্পেশাল’ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিবিড় সংশোধনে আপত্তি রয়েছে! হঠাৎ ‘স্পেশাল’ কেন?

Latest article