এসআইআর-আতঙ্কে জোড়া মৃত্যু, পরিবারের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস

Must read

প্রতিবেদন : এসআইআর-আতঙ্কে (SIR) এবার জোড়া মৃত্যু বাংলায়। আগরপাড়া, ইলামবাজার, জামালপুর, ডানকুনির পর এবার ঘটনাস্থল হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং মুর্শিদাবাদের কান্দি। মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর-এর মূলপর্বের কাজ। তার আগেই এদিন সাতসকালে উলুবেড়িয়ার খলিসানির মালপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জাহির মাল (৩০)। পেশায় রাজমিস্ত্রি জাহির এসআইআর শুরুর খবর পেয়ে আতঙ্কে ছিলেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না দেখতে পেয়ে আরও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ক্রমাগত আতঙ্কে ভুগে এদিন সকালে নিজের ঘরে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের দাবি, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে-ভয়েই নিজেকে শেষ করে ফেলল জাহির।

আরও পড়ুন- বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রের বিজেপি-সরকার ভেঙে দেব: হুঁশিয়ারি দলনেত্রীর

খবর পেয়ে এদিন মৃত যুবকের বাড়িতে ছুটে যান জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। সঙ্গে ছিলেন উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান অভয় দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে সবসময় থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, আমাদের দল এই পরিবারের পাশে রয়েছে। এসআইআরের নামে বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি। বাংলা ভাষায় কথা বলা মানেই বাংলাদেশি, এমনটাই বোঝাতে চাইছে বিজেপি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বলব, মৃত্যুর এই নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।
উলুবেড়িয়ার পাশাপাশি এদিন মুর্শিদাবাদের কান্দিতেও এক ব্যক্তি এসআইআর-এর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন। কান্দি পুরসভার ১২নং ওয়ার্ডের বাগডাঙা এলাকায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মোহন শেখ নামে এক প্রৌঢ়। পরিবার সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় কয়েকদিন ধরে আতঙ্কিত ছিলেন মোহন শেখ। নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে, এই আতঙ্কেই মঙ্গলবার সকালে পাড়ার মাঠে কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মোহন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Latest article