ঢাকা : বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার নেপথ্য রহস্য ফাঁস! এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে হাসিনা জমানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গোটা ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যাঁকে মাত্র কয়েকমাস আগেই সেনাপ্রধানের পদে বসিয়েছিলেন শেখ হাসিনা নিজেই। সম্পর্কে যিনি হাসিনার আত্মীয়। স্বভাবতই এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন-রিচা-দীপ্তিকে সম্মান জানাবে ইস্টবেঙ্গল
২০২৪-এর ২৩ জুন সেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত করা হয় ওয়াকারকে। হিংসাত্মক গণবিক্ষোভের জেরে হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ৫ অগাস্ট। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অভিযোগ উঠছে বর্তমান সেনাপ্রধানই এই ভয়ঙ্কর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআই-এর নির্দেশে। কারণ হাসিনার আত্মীয় ওয়াকার সিআইএ-র হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করেছিলেন। অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, ওয়াকারই হাসিনাকে চাপ দিয়েছিলেন দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়তে। নচেৎ তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। এতদিন পর এবার অকথিত ষড়যন্ত্রের কাহিনি উঠে এসেছে হাসিনা-জমানায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের প্রথম সারির নেতা আসাদুজ্জমান খান কামালের বক্তব্যে। কামালের ইন্টারভিউ নিয়ে একটি বই প্রকাশ হতে চলেছে। সাংবাদিক সহিদুল হাসান খোকন, দীপ হালদার এবং জয়দীপ মজুমদারের লেখা ‘ইনশাআল্লা বাংলাদেশ : দ্য স্টোরি অব অ্যান আনফিনিশড রেভলিউশন’ শীর্ষক বইটি যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। তবে জাগারনাট পাবলিশার্সের বইটির অংশবিশেষ ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
লক্ষণীয়, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করার পরে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অনেক সামরিক-অসামরিক কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেও সেনাপ্রধান ওয়াকারকে কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্পর্শ করেনি। এই ব্যাপারে বহু জল্পনা-কল্পনা চললেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন হাসিনা জমানার সেনাপ্রধান। সফর করছেন একের পর এক দেশ। সূত্রের দাবি, আসাদুজ্জামান মন্তব্য করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সিআইএ চক্রান্ত করছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি ওয়াকারও রয়েছেন সিআইএর পকেটে। আমাদের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বাহিনী, বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের ডিজি, প্রিন্সিপ্যাল সিভিলিয়ান ইনটেলিজেন্স এজেন্সি, জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ— কেউই ওয়াকারের বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়ে সতর্ক করেনি প্রধানমন্ত্রীকে।

