নাম ছিল না ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে আর সেই আতঙ্কেই বৃহস্পতিবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, মৃতের নাম তারক সাহা, বয়স ৫৪। তাঁর বাড়ি বহরমপুর পুরসভার গান্ধী কলোনিতে। পরিবার সূত্রে খবর, SIR চালু হওয়ার পর থেকেই নিজের নাম ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় না দেখতে পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। চারদিকে খোঁজ নিচ্ছিলেন এই বিষয়ে। পেশায় তিনি একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে যদিও আগে রিকশা চালাতেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনার তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন-হতভম্ব পুলিশ! নয়ডার অভিজাত এলাকার নর্দমায় মহিলার মুণ্ডহীন নগ্নদেহ উদ্ধার
তাপসের বাবা মায়ের নামও নেই ২০০২ এর ভোটার তালিকায়। এর ফলেই তিনি আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। দিশেহারা হয়ে অবশেষে ভয়ানক এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চালু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে আতঙ্কেই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পরিবারের দাবি, এসআইআর আবহে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার আতঙ্কে বৃহস্পতিবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়ে আত্মঘাতী হন তারক। ওই অবস্থায় তাঁকে দেখে বহরমপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তারকের মৃত্যুর পর এসআইআর-আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছন বহরমপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জয়ন্ত প্রামাণিক। তিনি বলেন, বিরোধীরা চক্রান্ত করে ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে। এলাকার মানুষদের আতঙ্কিত না-হওয়ার কথা বলব। তারক সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহা পরিচারিকার কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। প্রিয়া জানান, আগের রাতে তাঁর স্বামী ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না পেয়ে আতঙ্কে ছিলেন। বিষয়টি বন্ধুবান্ধবদেরও জানিয়েছিলেন। আর আজই তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।

