রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath tagore) অপমান কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরির। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে ধুয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সুকিয়া স্ট্রিটে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা ছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, তৃণমূল কাউন্সিলার অয়ন চক্রবর্তী, তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা, তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল-সহ বাকিরা।
কুণাল ঘোষ শুক্রবার বিজেপিকে একহাত নিয়ে জানান,”কর্নাটকের বিজেপির এক সাংসদ রবি ঠাকুরকে অপমান করেছেন। বলেছেন ব্রিটিশদের খুশি করতে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath tagore) জন গণ মন লিখেছিলেন। বিজেপির ক্রমশ সাহস বাড়ছে। এখনও বাংলার পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। এরপর বিজেপি বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করে। আমরা আজ রামমোহন হলের সামনে দাঁড়িয়ে মিটিং করছি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে। নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর কলকাতার বুকে প্রথম নাগরিক সম্বর্ধনা হয়েছিল এই ঐতিহাসিক রামমোহন হলে। ১৯১১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রথম জন গন মন গাওয়া হয়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রস্তাব দিয়েছিলেন জন গন মন-কে জাতীয় সঙ্গীত করার। এই বিজেপি ইতিহাস, ঐতিহ্য জানে না। বাংলাকে অপমান করে। বাঙালিকে সম্মান করতে পারে না বলছে বন্দে মাতরাম পালন করব। আমাদের রক্তে, শিরা, ধমনীতে বন্দে মাতরাম। বিজেপি মেকি দেশপ্রেমী, মেকি হিন্দু। ওরা আসলে দেশবিরোধী। লিখে রেখে দিন ২৫০ আসন নিয়ে চতুর্থবার বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লড়াই বাংলা লড়াই, অধিকারের লড়াই, অস্তিত্বের লড়াই। যে বিজেপির পূর্বসূরিরা ব্রিটিশকে দাসখত দিয়ে মুচলেকা দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে পালিয়ে যেত, সেই বিজেপির লোকেরা বলেছে জন গন মন ব্রিটিশদের খুশি করতে লেখা হয়েছিল। এর জন্য কর্নাটকের বিজেপি সাংসদেকে কড়া শাস্তি দিতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।”
আরও পড়ুন-১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ‘সেবাশ্রয় ২’, জানালেন অভিষেক
এদিন তৃণমূলের ভ্রাম্যমান SIR সহায়তা ক্যাম্পে চালু হয়। ছিলেন কুণাল ঘোষ-সহ বাকি তৃণমূল নেতারা। কূনাল বলেন,” আমরা আজ থেকে দুয়ারে ক্যাম্প শুরু করছি। আতঙ্কিত হবেন না। যা করার আমাদের প্রতিনিধিরা করবেন।”
আজ এসআইআর নিয়ে বিজেপিকে আরও একবার তোপ দেগে কুণাল বলেন,”বাংলা নাকি কোনও ভাষা নয় বাংলা মানে বাংলাদেশি ভাষা। এসআইআরের নামে এনআরসি-র ছায়া। আমরা বলছি একজন বৈধ ভোটারকে আমরা বাদ দিতে দেব না। একজন অবৈধ ভোটারকে রাখতেও দেব না। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে ভোতার লিস্টে কারচুপি করেছে তো বিজেপি। অন্য রাজ্যের ভোটার বাংলায় ঢুকিয়েছে, কে ধরেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব কার? অমিত শাহের, বিএসএফের। বলছে রোহিঙ্গা আসছে। কিন্তু মায়ানমারের সঙ্গে তো বাংলার সীমান্তই নেই। যেসব রাজ্যের সঙ্গে মায়ানমারের বর্ডার সেখানে এসআইআর হবে না হচ্ছে বাংলায়। কারণ সামনে ভোট। ২০০২ সালে যখন এসআইআর হয়েছিল তখন দুই থেকে আড়াই বছর সময় লেগেছিল। ২০০১ সালের ভোটের পরে করেছিল। এখন বিধানসভা ভোটের আড়াই মাস সময়,এর মধ্যে সম্ভব? মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এর জন্য কত মানুষ আত্মহত্যা করলেন। সময় নিয়ে এসআইআর করতে পারতেন এত তাড়াহুড়োর কী ছিল।”

