এসআইআর কাড়ল আরও ২ প্রাণ, বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলি এবার কুলপি ও সাঁইথিয়ায়

Must read

এসআইআরের (sir) নামে বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি রাজ্যে একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। এবার মৃত্যুর তালিকায় নাম জুড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি এবং বীরভূমের সাঁইথিয়ার। ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ও নামের বানান ভুল থাকায় আতঙ্কে মৃত্যু হল দু’জনের।
দুক্ষেত্রেই পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীচরণপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন পাইকের (৪৫) নাম ছিল না ২০০২-এর ভোটার তালিকায়। নাম ছিল না তাঁর স্ত্রীয়েরও। দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তিত ছিলেন তিনি। স্ত্রীর নথিতে গরমিল ধরা পড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই শাহাবুদ্দিন হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে স্থানান্তর করা হয় ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাসপাতালে যান সাংসদ বাপি হালদার, বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তাঁরা জানান, এসআইআর (sir) নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন। এর সম্পূর্ণ দায় কেন্দ্র সরকার ও নির্বাচন কমিশনের। শাহাবুদ্দিনের মৃত্যুর কারণ এসআইআর ভীতি।
এছাড়া বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান প্রামাণিকও হৃদ রোগী আক্রান্ত হন এসআইআর আতঙ্কের জেরে। এমনটাই দাবি পরিবারের। গত তিন দিন ধরে চরম মানসিক উদ্বেগে ছিলেন বিমান। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও তাঁর দিদি মল্লিকা পালের পদবি ভুল ছিল। প্রামাণিকের বদলে পাল লেখা ছিল 2002 এর ভোটার তালিকায়। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু উদ্বেগ কাটেনি তাঁর। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন-জন-গণ-মন: রবি ঠাকুরকে অপমানের পরিকল্পিত চক্রান্ত! বিজেপি সাংসদের পদত্যাগ দাবি তৃণমূলের

Latest article