চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রাণের উৎসব ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এবার ৩১তম বছর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত এই উৎসবে শতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হচ্ছে ঋত্বিক ঘটক, প্রদীপ কুমার, সন্তোষ দত্ত, সলিল চৌধুরী, রাজ খোসলা-র প্রতি। কেউ চলচ্চিত্র পরিচালক, কেউ অভিনেতা, কেউ সুরকার, লেখক। এঁরা ভারতবর্ষের গর্ব। জড়িয়ে আছেন আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে। এঁদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র উৎসবে জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হচ্ছে তিন বিদেশি চলচ্চিত্র-ব্যক্তিত্ব— স্যামুয়েল পেকিনপাহ, রিচার্ড বার্টন এবং ওজসিচ হ্যাসের প্রতি। এই তিন কিংবদন্তি সমৃদ্ধ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পকে। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁদের অগণিত অনুরাগী। চলচ্চিত্রে তাঁদের অবদান সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। সেইসঙ্গে দেখে নেওয়া যাক, তাঁদের কোন কোন ছবি উৎসবে রয়েছে।
আরও পড়ুন-ভিসা-নীতি কড়া করতে এবার রোগ নিয়ে শর্ত ট্রাম্পের
স্যামুয়েল পেকিনপাহ
হলিউডের সিনেমার ভাষা বদলে দিয়েছিলেন স্যামুয়েল পেকিনপাহ। বিখ্যাত আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক তিনি। পরিচিত ছিলেন স্যাম পেকিনপাহ নামেও। জন্ম ১৯২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনোয়। শৈশব জীবন কেটেছে সাধারণভাবে। ফ্রেসনো হাই স্কুলে পড়ার সময় জুনিয়র ভার্সিটি ফুটবল দলে সুযোগ পান। কিন্তু শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে বাবা-মা তাঁকে সান রাফায়েল মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পসে যোগ দেন। দুই বছরের মধ্যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানি সৈন্যদের নিরস্ত্রীকরণ এবং তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়ে তাঁর ব্যাটালিয়নকে চিন দেশে পাঠানো হয়। চিনের অভিজ্ঞতা পেকিনপাহকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি ফ্রেসনোতে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। ছাত্র থাকাকালীন, ১৯৪৭ সালে মেরি সেল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁরা বিবাহ করেন। নাট্য বিভাগের একজন মেজর, সেল্যান্ড থিয়েটার বিভাগের সঙ্গে পেকিনপাহর পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর পেকিনপাহ প্রথমবারের মতো পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
১৯৪৮ সালে স্নাতক হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াতে নাটকে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নে ভর্তি হন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে হান্টিংটন পার্ক সিভিক থিয়েটারে পরিচালক হিসেবে দুটি মরসুম কাটিয়েছিলেন। তাঁকে আরও এক বছর থাকতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি একটি চ্যানেলে উপস্থাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৫৪ সালে, ‘রায়েট ইন সেল ব্লক ১১’ চলচ্চিত্রের জন্য পেকিনপাহকে সংলাপ প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর কাজ ছিল চলচ্চিত্র পরিচালক ডন সিগেলকে সহযোগিতা করা। ছবিটির শুটিং হয়েছিল ফোলসম কারাগারে। জানা যায়, সিগেলের লোকেশনের কাজ এবং ছবিতে অতিরিক্ত হিসাবে প্রকৃত বন্দিদের ব্যবহার পেকিনপাহর উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি সিগেলের আরও চারটি চলচ্চিত্রে সংলাপ প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে পেকিনপাহ স্বাধীনভাবে বেশকিছু মনে রাখার মতো ছবি পরিচালনা করেন। ‘দ্য ওয়াইল্ড বাঞ্চ’, ‘দ্য ডায়াবলস অ্যাডভাইজার’, ‘প্যাট গ্যারেট অ্যান্ড বিলি দ্য কিড’ ছবিগুলো পেয়েছিলেন চূড়ান্ত সাফল্য। তিনি তাঁর চলচ্চিত্রগুলিতে বুনে দিয়েছিলেন অস্বাভাবিক আবেগ এবং রোমান্টিকতা।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছে পেকিনপাহ পরিচালিত দুটি ছবি। ৮ নভেম্বর নন্দন-১-এ দেখানো হয়েছে ১৯৬৯ সালে নির্মিত ‘দ্য ওয়াইল্ড বাঞ্চ’। এটা একটা বয়স্ক দস্যু দলের গল্প। উইলিয়াম হোল্ডেন, আর্নেস্ট বোর্গনাইন এবং রবার্ট রায়ান-সহ অনেক বিখ্যাত অভিনেতা এতে অভিনয় করেছেন।
আজ রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে দেখানো হবে ‘প্যাট গ্যারেট অ্যান্ড বিলি দ্য কিড’ ছবিটি। ১৯৭৩ সালে নির্মিত। অভিনয়ে জেমস কোবার্ন, ক্রিস ক্রিস্টোফারসন, রিচার্ড জ্যাকেল, কেটি জুরাডো, চিল উইলস, ব্যারি সুলিভান, জেসন রোবার্ডস, স্লিম পিকেন্স, বব ডিলান।
আরও পড়ুন-রিচাকে অধিনায়ক দেখতে চান সৌরভ
রিচার্ড বার্টন
সাতবার সেরা অভিনেতার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু একবারও পুরস্কার জেতেননি। তবে সেরা অভিনেতা হিসেবে বিএএফটিএ, গোল্ডেন গ্লোব এবং টনি এওয়ার্ড জিতেছেন। তিনি রিচার্ড বার্টন। ওয়েলস্-এর অভিনেতা। জন্ম ১৯২৫ সালের ১০ নভেম্বর। অভিনয় বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাঁর ছিল না। তবুও তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। কীভাবে শুরু হয়েছিল তাঁর অভিনয় জীবন? ওয়েস্টার্ন মেইলে তরুণ ওয়েলশ অভিনেতাদের খোঁজে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে নির্বাচিত হন রিচার্ড। ১৯৪৩ সালে লন্ডনের সেন্ট মার্টিন থিয়েটারে ‘দ্য ড্রুইডস রেস্ট’-এ অভিনয় করে মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন।
ছয় বছর পর ‘দ্য লাস্ট ডেজ অফ ডলউইন’-এর মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৬৩ সালে ঐতিহাসিক মহাকাব্য ‘ক্লিওপেট্রা’য় অভিনয় রিচার্ডকে ঘরে ঘরে পরিচিত করে তোলে। সহ-অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁরা বিবাহ করেন। তাঁদের একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সফল ছবিতে দেখা যায়, যার মধ্যে রয়েছে ‘হুজ অ্যাফ্রেড অফ ভার্জিনিয়া উলফ?’, ‘দ্য টেমিং অফ দ্য শ্রু’।
ব্যারিটোন কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত রিচার্ড গত শতকের পাঁচের দশকে নিজেকে একজন শক্তিশালী শেক্সপীয়রীয় অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে হ্যামলেট চরিত্রে স্মরণীয় অভিনয় করেন। তিনি ‘মাই কাজিন র্যা চেল’ (১৯৫২), ‘দ্য রোব’ (১৯৫৩), ‘বেকেট’ (১৯৬৪), ‘দ্য স্পাই হু কাম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড’ (১৯৬৫), ‘হু ইজ অ্যাফ্রেড অফ ভার্জিনিয়া উলফ?’ (১৯৬৬), ‘অ্যান অফ দ্য থাউজেন্ড ডেজ’ (১৯৬৯) এবং ‘ইকুস’ (১৯৭৭) ছবিতে অভিনয়ের জন্য অস্কারে মনোনীত হন।
ছয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি হলিউডে বক্স-অফিসের শীর্ষ তারকা হয়ে ওঠেন। ওই দশকের শেষের দিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের একজন ছিলেন। সেইসময় পেতেন ১ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি পারিশ্রমিক এবং মোট আয়ের একটি অংশ। তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বহু নারী। বিবাহ করেছেন দু’বার। কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তাঁর অভিনয় জীবন এবং ব্যক্তি জীবন ছিল চর্চার বিষয়।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭ নভেম্বর রাধা স্টুডিওয় দেখানো হয়েছে রিচার্ড বার্টন অভিনীত ‘হুজ আফ্রেইড অফ ভার্জিনিয়া উলফ?’ ১৯৬৬ সালের ছবি। পরিচালনা করেন মাইক নিকলস। আর্নেস্ট লেহম্যানের চিত্রনাট্যটি এডওয়ার্ড আলবির ১৯৬২ সালের একই নামের নাটক অবলম্বনে নির্মিত। রিচার্ড বার্টন এবং এলিজাবেথ টেলরের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সেই সময়ের কয়েকজন তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রী। ছবিটি ১৩টি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল এবং পাঁচটি জিতেছিল।
আরও পড়ুন-বীরভূমে নানা শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে ১৮৫০ কোটি, জেলায় বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ
ওজসিচ হ্যাস
পোলিশ চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন ওজসিচ হাস। ১৯২৫ সালের ১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার রোমান ক্যাথলিক ছিল। তবে তিনি ছিলেন অজ্ঞেয়বাদী। যুদ্ধকালীন জার্মান দখলদারিত্বের সময় ক্রাকো ব্যবসা ও বাণিজ্য কলেজে পড়াশোনা করেন। পরে ক্রাকো অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এও ক্লাস করেছেন। এই অ্যাকাডেমি ১৯৪৩ সালে ভেঙে দেওয়া হয়। যুদ্ধ শেষ হলে, তিনি ক্রাকোতে পুনর্গঠিত অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ পড়াশোনা চালিয়ে যান। ১৯৪৬ সালে তিনি চলচ্চিত্রের উপর এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন এবং ওয়ারশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম স্টুডিওয় শিক্ষামূলক এবং তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। গত শতকের পাঁচের দশকে পোল্যান্ডের প্রিমিয়ার ফিল্ম মেকিং অ্যাকাডেমি, ন্যাশনাল ফিল্ম স্টুডিওয় শুরু করেন কাজ।
১৯৪৮ সালে ‘হারমনি’ নামে একটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫৭ সালে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে লোডের জাতীয় চলচ্চিত্র বিদ্যালয়ে পরিচালনা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ কর্মজীবনে তিনি ‘দ্য সারাগোসা ম্যানুস্ক্রিপ্ট’, ‘দ্য ডল’, ‘দ্য আওয়ারগ্লাস স্যানেটোরিয়াম’-এর মতো উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে একজন ব্যক্তিবাদী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যিনি তাঁর শিল্পে রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে চলেন। পোলিশ ফিল্ম স্কুল যখন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, সেই সময়কালে তিনি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর কাজের নিজস্ব স্টাইলিস্টিক অনুভূতি ছিল, যা প্রচলিত পোলিশ স্কুলের উপর আধিপত্য বিস্তারকারী প্রকাশ্য রাজনৈতিক থিম থেকে স্বাধীন। প্রায় সমস্ত ছবিতেই তিনি সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন, যেখানে তাঁর নায়কদের সমস্যা এবং কাহিনি সর্বদা তাঁর সৃষ্টি করা বিশেষ জগতের তুলনায় কম গুরুত্বের ছিল। তিনি তাঁর কর্মজীবনে ‘হাউ টু বি লাভড’ এবং ‘ফেয়ারওয়েলস’-এর মতো বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ মনস্তাত্ত্বিক নাটকও তৈরি করেছিলেন।
১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত হাস রোন্ডো ফিল্ম স্টুডিওর শৈল্পিক পরিচালক এবং পোলিশ স্টেট সিনেমা কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯-১৯৯০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ের প্রভোস্ট হন এবং ছয় বছর ধরে এই পদে ছিলেন। তিনি বিদ্যালয়-অনুমোদিত ইন্ডেকস স্টুডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান উপদেষ্টার গুরুদায়িত্ব পালন করেন।
কলকাতা আন্তর্জাতিক উৎসবে রয়েছে ওজসিচ হ্যাসের তিনটি ছবি। ১১ নভেম্বর রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে দেখানো হবে ‘দ্য আওয়ারগ্লাস স্যানাটোরিয়াম’। ১৯৭৩ সালে নির্মিত ছবি। অভিনয়ে জান নওইকি, তাদেউস কনড্রাট, মিকজিস্লাও ভয়েট, হালিনা কোয়ালস্কা, গুস্তাও হোলুবেক। একজন তরুণ ইহুদির জীবনের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
১২ নভেম্বর রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে দেখানো হবে ‘দ্য সারাগোসা ম্যানুস্ক্রিপ্ট’। ১৯৬৫ সালের ছবি। কাহিনি এইরকম, নেপোলিয়নের যুদ্ধের সময় এক নির্জন বাড়িতে বিরোধী পক্ষের দুই কর্মকর্তা একটি পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান, যা স্প্যানিশ অফিসারের দাদা আলফোনসো ভ্যান ওয়ার্ডেনের গল্প বলে। ভ্যান ওয়ার্ডেন বহু বছর আগে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন, অশরীরী আত্মার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
১০ নভেম্বর রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে দেখানো হবে ‘দ্য ডল’। ১৯৬৮ সালের ছবি। বোলেস্লো প্রস-এর ‘দ্য ডল’ উপন্যাসের একটি রূপান্তর, যেটাকে অনেকেই সর্বকালের সেরা পোলিশ উপন্যাস হিসেবে গণ্য করেন। প্রসঙ্গত, এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পোল্যান্ডকে।

