আবর্জনার স্তূপে এক নতুন পাথরের ইতিহাস

ফেলে-দেওয়া বর্জ্যের গর্ভে মাত্র বছর চল্লিশেই জন্ম নিল এক নতুন ধরনের শিলা। পৃথিবীর বুকে এই প্রকার নবজাতক পাথরের মজবুত ছোঁয়া লাগতেই কেঁপে উঠেছে সমুদ্র ও তার উপকূলীয় পরিবেশ। বৈজ্ঞানিক মহলের মাথা ভারী, এই নতুনের সন্ধান মানবসভ্যতার জন্য কতটা সুসংবাদ বয়ে আনে সেটাই দেখার। লিখলেন তুহিন সাজ্জাদ সেখ

Must read

সেই সমুদ্রের তীরে
শীর্ণ দেহে জীর্ণ চীরে
খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর
সেই ছোটবেলায় আমরা শুনেছি পরশপাথরের গল্প— যা ছোঁয়া-মাত্রই লোহাকে সোনা করে তোলে। কবিতার পঙ্ক্তিতে, রূপকথার চেনা ছকে, পরশপাথর ছিল রূপান্তরের প্রতীক। আজকের বিজ্ঞান সেই রূপকথার ছায়া যেন বাস্তবের বুকে এনে হাজির করেছে। মানুষ যা ফেলেছে অবজ্ঞায়, সেই শিল্পবর্জ্য মাটির নিচে সময়ের ছাঁচে গড়ে তুলেছে এক নতুন ধরনের শিলা— যা গঠন করেছে মাত্র ৩৫ বছরে। প্রকৃতি ও প্রযুক্তির মিলনে, মানুষের ফেলে দেওয়া দ্রব্যে গড়ে ওঠা এই পাথর যেন এক নতুন পরশপাথর— যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, রূপান্তরের জাদু শুধু কল্পনায় নয়, বিজ্ঞানেও ঘটতে পারে। এই নতুন শিলা শুধু ভূতাত্ত্বিক কৌতূহল নয়, বরং একটি নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর নিঃশব্দ সংকেত।
ইংল্যান্ডের পশ্চিম কুম্ব্রিয়ার উপকূলে, ডারউয়েন্ট হাওয়ের প্রাকৃতিক ঢালে সম্প্রতি উঠে এসেছে প্রকৃতির এক অদ্ভুত নতুন বিস্ময়— নীলচে ধূসর, কাচের মতো ঝকঝকে শিলা। প্রাকৃতিক শিলার মতো নয়, এই পাথর যেন সময় ও মানুষের ফেলে দেওয়া আবর্জনার সংমিশ্রণে তৈরি। কৃত্রিম বর্জ্য, শিল্পকারখানার পরিত্যক্ত অবশেষ, আর প্রাকৃতিক কেরামতির সম্মিলনে জন্ম নিয়েছে এই নতুন প্রকারের শিলা। যেখানে একদিন ছিল আঁস্তাকুড়ে, সেখানেই আজ দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ঝলমলে প্রাকৃতিক রূপান্তরের নিদর্শন— এই ঘটনা প্রমাণ করে, শুধুমাত্র রবি ঠাকুরের কবিতায় নয়, পৃথিবীর বুকেও যখন খুশি জন্ম নিতে পারে এক আশ্চর্য পরশপাথর।
বর্জ্য থেকে শিলা
জিওলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর একদল গবেষক সমুদ্র-ঘেঁষা ডারওয়েন্ট হাউয়ের তটরেখায় সমীক্ষা করতে গিয়েই এই প্রকার বিশেষ শিলার খোঁজ পান। ওই উপত্যকার উপর শক্ত হয়ে যাওয়া নুড়ির মধ্যে এই ধরনের অদ্ভুত কাঁচের মতো নীলচে ধূসর পাথরগুলো সবার আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দ্যা স্কুল অব জিওলজিক্যাল অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের সিনিয়র লেকচারার ড. অ্যামান্ড আওয়েনের নজরে আসে। তারপর শুরু হয় গভীর অনুসন্ধান ও নিবিড় গবেষণা।
নবজাত শিলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় ব্রিটেনের রাজা জর্জ পঞ্চমের ১৯৩৪ সালে মুদ্রিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গৌরবগাথা বিরল ধাতব পেনি বা কয়েন। আরও পাওয়া যায়, সেই ১৯৮৯ সালের তৈরি নতুন প্রযুক্তির অ্যালুমিনিয়াম পুল ট্যাব স্টাইলের ক্যান। হালকা, টেকসই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য— এই ছোট্ট টুকরো অ্যালুমিনিয়াম থেকে আধুনিক প্যাকেজিং-এর এক নিঃশব্দ বিপ্লব শুরু হয়েছিল তখনই। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি পুল ট্যাব স্টাইলের ক্যানে প্রথম চালু হয় নতুন এক ঢাকনা প্রযুক্তি। চোখার মতো ট্যাবটি সহজেই খুলে দেয় পানীয়র মুখ, বদলে দেয় ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। ব্যস এইসব অনুসন্ধানই গবেষকদের কাছে তুলে ধরে নতুন শিলার আনুমানিক বয়সের মাপকাঠি। দ্যা স্কুল অব জিওলজিক্যাল অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের আরেকজন সিনিয়র লেকচারার এবং প্রকাশিত গবেষণা পত্রটির সহলেখক ড. জন ম্যাকডোনাল্ড জানান খুঁজে পাওয়া পাথরগুলোর বয়স প্রায় ৩৫ বছর।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, পশ্চিম কুম্ব্রিয়ার উপকূলে অবস্থিত ডারওয়েন্ট হাউয়ের-এর স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক আজ এক অভিনব ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়ের প্রতীক। এক সময় এখানে জমা হয়েছিল প্রায় ২.৭ কোটি কিউবিক ইয়ার্ড ইস্পাত কারখানার পরিত্যক্ত বর্জ্য— যা স্টিল স্ল্যাগ নামে পরিচিত। সেই ধাতব বর্জ্য আজ প্রকৃতির হাত ধরে রূপ নিচ্ছে এক নতুন ধরনের শিলায়। ভূতাত্ত্বিকেরা একে নাম দিয়েছেন ‘অ্যানথ্রপোক্লাস্টিক রক সাইকেল’— একটি মানবসৃষ্ট শিলাচক্র, যা প্রকৃতির দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়াকে অনেক গুণ দ্রুতগতিতে অনুকরণ করে। কারণ, স্ল্যাগের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ইতিমধ্যেই সিমেন্টের মতো কঠিন হয়ে উঠবার উপযুক্ত।
কখনও যে স্থানটি ছিল শুধুই শিল্পবর্জ্যের স্তূপ, আজ সেটিই হয়ে উঠেছে প্রকৃতি ও মানব ইতিহাসের এক অনন্য মেলবন্ধনের নিদর্শন। সমুদ্রের ঢেউয়ের অবিরাম ঘর্ষণে সেই স্ল্যাগ এখন সিমেন্টবদ্ধ, ধূসর-নীলবর্ণের কঠিন শিলায় পরিণত হয়েছে, তৈরি করেছে এক অদ্ভুত রুক্ষ সৌন্দর্যের প্ল্যাটফর্ম। স্পষ্ট দিনে এখান থেকে চোখে পড়ে হোয়াইটহ্যাভেনের প্রান্তর, আইল অফ ম্যানের রেখা, আর দূরে লেক ডিস্ট্রিক্ট ন্যাশনাল পার্কের সবুজ পাহাড়। ইস্পাতশিল্পের অতীত আজ মিশে গেছে প্রকৃতির রঙে। ডারওয়েন্ট হাউয়ের এই রূপান্তর শুধু শিল্প ও প্রকৃতির সম্মিলন নয়, এটি মানব ইতিহাসে এক নতুন ভূ-প্রাকৃতিক অধ্যায়ের সূচনা।
শিলাচক্রের নতুন ব্যাখ্যা
প্রাকৃতিক শিলা গঠনের যে চক্র আমরা কয়েক শতাব্দী ধরে জেনে এসেছি, তা সাধারণত হাজার থেকে লক্ষ কিংবা কোটি বছরের দীর্ঘ এক প্রক্রিয়া। যেমন, প্রাকৃতিক বালুকাপাথর গঠনের জন্য শিলার কণাগুলি চাপ ও তাপের ফলে গভীরে গিয়ে ধীরে ধীরে সিমেন্টজাত হয়ে শক্ত পাথরে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু ডারওয়েন্ট হাউয়ে–এর স্টিল স্ল্যাগের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত ঘটছে— কারণ বর্জ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুরু থেকেই ‘প্রি-মিক্সড গ্লু’ হিসেবে কাজ করছে।
ল্যাবরেটরিতে স্টিল স্ল্যাগের পাতলা সেকশনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্ল্যাগ কণার চারপাশে ক্যালসাইট, গোয়েথাইট এবং ব্রুসাইট– এর স্তরিত বৃত্ত তৈরি হয়েছে— যেগুলো প্রাকৃতিক পাললিক শিলাতেও থাকে। তবে এখানে এই খনিজ গঠনের গতি প্রকৃতির তুলনায় বহু গুণ বেশি। এই আবিষ্কার ভূতত্ত্বের প্রচলিত পাঠ্যপুস্তক-নির্ভর ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কয়েক কোটি বছরের পরিবর্তে, মানুষ সৃষ্ট বর্জ্য দিয়ে কয়েক দশকেই তৈরি হচ্ছে এক নতুন প্রকারের শিলা— যা নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে শিলা গঠনের সময়সীমা ও প্রক্রিয়া নিয়ে।

আরও পড়ুন-বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! স্বল্পমেয়াদি অধিবেশন নিয়ে তির ডেরেকের

ভূতাত্ত্বিক জটিলতা
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক করে আসছেন— মানব সভ্যতা কি এক নতুন ভূ-যুগে প্রবেশ করেছে, যার নাম অ্যানথ্রোপোসিন? এই যুগের বৈশিষ্ট্যই হল— মানব ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে পৃথিবীর ভূত্বকে স্পষ্ট পরিবর্তনের ছাপ। প্লাস্টিকের স্তর, কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানির অবশিষ্টাংশ— এসবই প্রস্তাবিত অ্যানথ্রোপোসিন যুগের ভূ-চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত। সম্প্রতি ডারওয়েন্ট হাউয়ে আবিষ্কৃত ইস্পাত শিল্পজাত বর্জ্য থেকে তৈরি নতুন মানবসৃষ্ট শিলা এই যুক্তিকে আরও জোরালো করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, শিল্পবর্জ্য শুধু টিকে থাকে না— তা সক্রিয়ভাবে প্রাকৃতিক উপকূলরেখা পরিবর্তন করে এবং ভূতাত্ত্বিক চক্রে প্রবেশ করতে শুরু করে। এই শিলা এখন ভূগোল, ভূতত্ত্ব ও ইতিহাসের এক যোগসূত্র হিসেবে অ্যানথ্রোপোসিন যুগের বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরছে।
ভূতাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া
উপকূলের কাছে ইস্পাত বর্জ্য দ্রুত শক্ত শিলায় পরিণত হলে ঢেউয়ের ধাক্কা ও বালির চলাচল বদলে যায়, ফলে পাশের প্রাকৃতিক পাহাড়ে ক্ষয় বেড়ে যায়। এই শিলা বিষাক্ত ধাতু আটকে রাখতে পারে, কিন্তু আশেপাশে ক্ষারীয় জল তৈরি করে যা ঝিনুক ও শৈবালের জন্য ক্ষতিকর। তবে নতুন স্ল্যাগ শিলা উপকূলের জোয়ারভাটা অঞ্চলে বড় পরিবর্তন আনছে। নরম বালির জায়গায় এখন শক্ত পাথর তৈরি হচ্ছে, যা মাছের ডিম পাড়ার জায়গা ও উপকূলীয় পাখিদের খাবার খোঁজার এলাকা নষ্ট করে দিচ্ছে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এই শিলা থেকে ক্ষারীয় উপাদান জলে মিশে কাছাকাছি জলাধারের পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে, ফলে স্থানীয় জলজ পোকামাকড়ের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এসব পরিবর্তনে জীববৈচিত্র্য কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যেখানে প্রাণীরা নির্দিষ্ট ধরনের বালু বা পলি-নির্ভর করে। পরিকল্পনা ছাড়া এই ধরনের শিলা পরিবেশের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
স্ল্যাগ শিলা তৈরির সময় সিমেন্টজাত বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষিত হয়, যা পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিকোণ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এজন্য অনেক প্রকৌশলী ভাবছেন, পরিকল্পিতভাবে গড়া স্ল্যাগ রিফগুলো কম খরচের কার্বন সিঙ্ক হিসেবে কাজ করতে পারে কি না। তবে এতে এক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে— এই শিলা থেকে ক্রোমিয়াম ও ভ্যানাডিয়ামের মতো বিষাক্ত উপাদান জলে মিশে যেতে পারে। ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি এড়াতে প্রতিটি নতুন স্ল্যাগস্তর স্থাপনের আগে স্থানীয় ভূ-রাসায়নিক পরীক্ষা অত্যাবশ্যক। এই প্রেক্ষিতে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ইউরোপের বিভিন্ন উপকূলবর্তী স্ল্যাগ অঞ্চল নিয়ে সমীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। ড্রোন ও গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন তরঙ্গ-পরিবেশে এই শিলাগুলোর বৃদ্ধির হার ও প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবেন। অন্যদিকে, ভারী শিল্প এখনও এক বড় চাপে রয়েছে। গ্লোবাল এনার্জি মনিটর-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিকল্পিত নতুন ব্লাস্ট ফার্নেসগুলো আগামী এক দশকে প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি তৈরি করবে, যা জলবায়ু সংকট আরও গভীর করতে পারে।

আরও পড়ুন-কুঞ্জভঙ্গের মাধ্যমে সম্পন্ন হল শান্তিপুরের রাস উৎসব

এই পৃথিবীর এক নতুন সমীকরণ
মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক চিরকালই জটিল— সহযোগিতা ও সংঘর্ষের এক সূক্ষ্ম সেতুবন্ধ। ইংল্যান্ডের কুম্ব্রিয়ায় ইস্পাত শিল্পের বর্জ্য থেকে মাত্র ৩৫ বছরে তৈরি হওয়া নতুন শিলা আমাদের এই সম্পর্কের গভীরতা ও প্রভাব নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। এটি কেবল একটি ভূতাত্ত্বিক ঘটনা নয়, বরং এক দার্শনিক প্রশ্নের জন্ম দেয়— মানুষ কি এখন প্রকৃতির অংশ, না প্রকৃতির পরিবর্তনশীল শক্তি? যেখানে প্রাকৃতিক শিলা গঠনের জন্য দরকার লাখো বছরের ধৈর্য, সেখানে শিল্পবর্জ্য নিজে থেকেই মাত্র কয়েক দশকে রূপ নিচ্ছে কঠিন শিলায়। এই ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা আবার বলছেন, অ্যানথ্রপোক্লাস্টিক রক সাইকেল— এক মানবসৃষ্ট ভূ-প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতির নিজস্ব ছন্দকে চ্যালেঞ্জ করছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে : আমরা কি কেবল প্রকৃতির নীরব পর্যবেক্ষক, না তার রূপকার?
ভূবিজ্ঞান এতদিন ছিল প্রকৃতির মৌন ইতিহাস পড়ার চেষ্টা। কিন্তু এখন তা হয়ে উঠছে মানুষের পদচিহ্নে গঠিত এক সক্রিয় পাঠ্য। ডারওয়েন্ট হাউয়ে-এর শিলা এই সত্য তুলে ধরে– মানবিক কর্মকাণ্ড এখন এমন এক স্কেলে পৌঁছেছে, যেখানে তা ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের কারণ হয়ে উঠছে। এটি অ্যানথ্রোপোসিন নামক এক নতুন যুগের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে মানুষ নিজেই এক ভূতাত্ত্বিক বল। এই প্রেক্ষাপটে, বিজ্ঞান আর কেবল পরিমাপের বিষয় নয়— এটি হয়ে উঠছে অস্তিত্বের প্রশ্ন। আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি এই বিশাল গ্রহের বিবর্তনের ইতিহাসে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হয়তো আমাদের নতুন করে পড়তে হবে পৃথিবীর পাঠ, বিজ্ঞান ও আত্মজিজ্ঞাসার আলোয়।

Latest article