সংবাদদাতা, হাওড়া : ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে যে বাঙালি শ্রমিকদের জীবনের কোনও দাম নেই সেই বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হল। ছত্তিশগড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু। পরিবারের দাবি, বাংলা বলার জন্যই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের লকারে একে-৪৭
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিদ্যুৎ বেরা(৪০)। আমতার গাজিপুরে বাড়ি। ৮ মাস আগে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের কারাঞ্জিয়ায় কাঠের কাজ করতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ। বাড়ির লোকেরা জানান, পুজোর পর থেকে বিদ্যুৎ বলতেন ওখানে খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাঁর সেখানে ভীষণই সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে কালীপুজোর পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফোনেও আর যোগাযোগ হয়নি। এর মধ্যে গত রবিবার সোশ্যাল মাধ্যম মারফৎ জানা যায় বিদ্যুতের দেহ সেখানে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। একথা জানতে পেরেই বাড়ির লোকেরা এলাকার বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজির দ্বারস্থ হন। তিনি তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। বাড়ির দুজন সদস্য রাজ্য সরকারের সহায়তায় দ্রুত সেখানে যান। শনিবার সড়ক পথে বিদ্যুতের দেহ আমতায় নিয়ে আসা হয়। নির্মল মাজি বলেন, বিদ্যুতের পরিবারের পাশে আমরা সবসময় আছি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বলার দায়ে প্রাণ গেল বিদ্যুতের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তাঁর দেহ দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হল। কাজের জন্য গিয়ে যেভাবে তাঁর প্রাণ গেল আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এর দায় বিজেপিকে নিতে হবে। বিজেপিশাসিত রাজ্যের কাজের সন্ধানে গিয়ে এক নিরীহ যুবকের মৃত্যু হল আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।

