এসআইআর সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ এবং এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ। নির্বাচনমুখী ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ‘সেরা পারফর্মার’ হিসেবে উঠে এসেছে রাজ্যের নাম।
সম্প্রতি তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে রাজ্যের এই সাফল্যকে প্রকাশ্যে সাধুবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। কমিশনের সর্বশেষ তুল্যমূল্য পরিসংখ্যানেও সেই স্বীকৃতি মিলেছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে ৪ কোটিরও বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-SIR-এ কাজের চাপ, হৃদরোগে মৃত্যু বিএলও’র
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনে ১২টি নির্বাচনমুখী রাজ্যের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলির গড় শতাংশের বিচারে গোয়ার পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে জনসংখ্যার নিরিখে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গোয়ার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কমিশনের আধিকারিকরা।
কমিশনের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪৬ শতাংশ ফর্ম বিলির কাজ শেষ হয়েছে। তুলনামূলকভাবে বড় রাজ্যগুলো অনেকটাই পিছিয়ে — তামিলনাড়ু (৩৯%), গুজরাট (৩৯%), রাজস্থান (২২%), কেরালা (১৪%), ছত্তিশগঢ় (১০%), মধ্যপ্রদেশ (৭%) এবং উত্তরপ্রদেশ (৬%)। গোয়া ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যই পশ্চিমবঙ্গের ধারেকাছে নেই।
আরও পড়ুন-মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল
রাজনৈতিক দিক থেকে এই সাফল্যের তাৎপর্যও কম নয়। কারণ, এসআইআর বিরোধিতায় আন্দোলনের ডাক এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল আগেই। এমন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী কাজের গতিতে এগিয়ে থাকা রাজ্য প্রশাসনের দক্ষতা ও কর্মতৎপরতারই প্রমাণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কমিশনের শীর্ষ মহলের বক্তব্য, শুধুমাত্র গোয়া বাদে বাকি সব বড় রাজ্যই ফর্ম বিলির কাজে অনেকটাই পিছিয়ে। আগামী বছরের নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের এই অগ্রগতি তাই কমিশনের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পুদুচেরি এবং লাক্ষাদ্বীপেও এসআইআর সংক্রান্ত কাজের গড় অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। তবে বৃহত্তর রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পারফরম্যান্সই এখন কমিশনের কাছে নজির।

