ধৃত চিকিৎসককে জেরা করে উদ্ধার ৩০০ কেজি বিস্ফোরক ও রাইফেল

কাশ্মীরি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠারকে (Adil Ahmad Rather) জেরার পর বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।

Must read

কাশ্মীরি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠারকে (Adil Ahmad Rather) জেরার পর বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি বিশেষ দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩০০ কেজি আরডিএক্স (RDX), একটি একে–৪৭ রাইফেল (AK-47) এবং বিপুল পরিমাণ গুলি-বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করেছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি মনে করছে গত কয়েক বছরের মধ্যেই উত্তর ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা।

আরও পড়ুন-রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে রাঠারকে গ্রেফতার করেছিল। তিনি শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার লাগাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদাবাদে অভিযান চালায় পুলিশ এবং অস্ত্রভাণ্ডার মুজাহিল শাকিল নামে আরেক চিকিৎসকের হেফাজতে ছিল বলে জানান তারা। তাঁকেও নজরে রাখা হচ্ছে। ফরিদাবাদের একটি বাড়িতে গোপনে রাখা ছিল বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল সাকিলকে জেরা করে এবার ফরিদাবাদের আল ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার হয়েছে পিস্তল, অ্যাসাল্ট রাইফেল-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রীর, শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিষেকেরও

এর আগেও রাঠারের নাম ছিল সন্দেহভাজনের তালিকায় কারণ শ্রীনগরের অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর লকার থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি একে–৪৭ রাইফেল এবং গুলি। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন (Arms Act) এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA)-এর আওতায় মামলা রুজু করা হয়। রাঠারকে জেরা করেই ফরিদাবাদের অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হরিয়ানা পুলিশ এই গোটা অভিযানের তদারকি করেছে। এত পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করার পিছনে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স দেশের উত্তর প্রান্তে গোপনে পৌঁছে গেল, এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিতে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

Latest article