সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগদান করার পরেই পাহাড়ে মজবুত হচ্ছে সংগঠন। পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাটি শক্ত করতেই শুক্রবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে ৩৩ জন যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কয়েকদিন আগেই জিটিএ প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ও কার্শিয়াংয়ের দু’বারের বিধায়ক রোহিত শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। তারপরেই যেন পাহাড় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগদান করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য কয়েকশো আবেদন জমা পড়ে গিয়েছে পাহাড়ের সভানেত্রী শান্তা ছাত্রীর কাছে। এদিন ৩৩ জন যোগদানকারীর মধ্যে দার্জিলিং পুরসভার সাতজন কাউন্সিলর রয়েছেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিনয় তামাং, রোহিত শর্মা এবং রাজ্যসভার সাংসদ তথা পাহাড়ের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী ও গৌতম দেব যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। যোগদানের পর বিনয় তামাং বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ২০২২। পাহাড়ের সবক’টি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। এছাড়াও জিটিএ নির্বাচন হতে পারে। তাই তার আগে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাটি শক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যোগদানকারীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখে তবেই চিন্তা করা হবে।’’ জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন আরও মজবুত হচ্ছে।
কয়েকদিন আগেই বিনয় তামাং যোগদান করেছেন আর তার মধ্যেই এত মানুষ আবার যোগদান করলেন।’’
বাম আমলে নেতারা পাহাড়ে পা-ই রাখতেন না। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই পাহাড়ের উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। পৌঁছে গিয়েছেন পাহাড়ের মানুষের পাশে। তাঁর হাত ধরেই এসেছে উন্নয়ন। পাহাড়বাসী মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতে চাইছেন। ধরতে চাইছেন তাঁর হাত। তাই পাহাড়ে কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।