দিল্লি বিস্ফোরণে গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্পষ্ট, শাহের ইস্তফা চাইল তৃণমূল

Must read

প্রতিবেদন : ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল রাজধানী দিল্লিতে (delhi blast_TMC)! আর ‘দেশের চৌকিদার’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সুযোগে ভুটান-সফরে। অন্যদিকে, লালকেল্লা সংলগ্ন হাই সিকিউরিটি জোনের বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেও নির্বিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ থেকে সেনা জওয়ানেরা। অথচ প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও জবাবদিহিতা নেই, কোনও দায়বদ্ধতা নেই! একজন বিদেশ সফরে ব্যস্ত, অন্যজন ভোটের প্রচারে। এমন অপদার্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস (delhi blast_TMC)। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিট গঠন করে দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন-ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে শীত

মঙ্গলবার দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে মোদি-শাহের অপদার্থতার যুগলবন্দি তুলে ধরেছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। বিজেপি সরকারের আমলে দেশবাসীর ‘শূন্য’ নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। প্রথমত, সোমবার সকালেই হরিয়ানার ফরিদাবাদের দুটি বাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের পর সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ! তাহলে সকালেই বিস্ফোরক উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাই অ্যালার্ট জারি হল না কেন? দ্বিতীয়ত, যে আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গাড়িটি লালকেল্লার কাছেই পার্কিং লটে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল! তা সত্ত্বেও পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে কারও চোখে পড়ল না কেন? এবং তৃতীয়ত, দেশের রাজধানীর বুকে এত বড় সন্ত্রাসী হামলার পর ন্যূনতম একটা সাংবাদিক সম্মেলন না করে প্রধানমন্ত্রী ভুটান চলে গেলেন? কোন মুখে? দেশের মানুষ যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তখন ‘চৌকিদার’ মোদি বিদেশের হাওয়া খাচ্ছেন?

Latest article