পাটনা: বিহারের দ্বিতীয় দফা বা শেষ দফার নির্বাচনে তুমুল হাতাহাতি হল কংগ্রেস আর বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরারিয়ার এক বুথ লাগোয়া এলাকায়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে বিরোধীদের উপরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। গন্ডগোলের খবর এসেছে নওয়াদা থেকেও। এখানে এক বিজেপি প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে গ্রামবাসীদের। অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিহার বিধানসভার শেষ দফার ভোটে মৃত্যু হয়েছে এক প্রিসাইডিং অফিসারের। আরওয়ালের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট চলার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত অরবিন্দ কুমার নামে ওই প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-সমাজমাধ্যমে প্রচারে জোর দিতে সভা হল বান্দোয়ানে
প্রথম দফার পর মঙ্গলবার বিহার বিধানসভার দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচনেও দারুণ উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৭.১৪ শতাংশ। কমিশনের দাবি, এবারের নির্বাচনে এটি রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কিষানগঞ্জে। বেলা ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৬.১০ শতাংশ। এরপরেই পূর্ণিয়া, ভোট পড়েছে ৬৪.২২ শতাংশ। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৬৫ শতাংশ। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের প্রতিক্রিয়া, আমার হৃদয় ভরে যাচ্ছে আনন্দে। প্রকৃত অর্থেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিহার। গণতন্ত্রের বিশাল এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন বৃদ্ধ, মহিলা, যুবসমাজ থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশা, জাত এবং ধর্মের মানুষ। ২০টি জেলার ১২২ কেন্দ্রে এদিন ভোটগ্রহণ হয়। ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এদিন সিল করে দেওয়া হয়েছিল নিরাপত্তার কারণে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়ে কড়া নজরদারি চলে বিভিন্ন রাজ্যের সীমানাতেও। বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় লালকেল্লার ঘটনার প্রেক্ষিতে।
এদিকে ভোট শেষ হওয়ার পরেই এগজিট পোলের নামে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা। বলাই বাহুল্য, বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বহুবারই।

