প্রতিবেদন : বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ করল তারা। দলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) প্রকাশ্য জনসভায় বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাষায় কুৎসিতভাবে আক্রমণ করলেন তাতে বিজেপিতে কী সংস্কৃতি চলে তা বোঝা যাচ্ছে! তাঁর এই মন্তব্যের জন্য বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি জানাল তৃণমূল। সেই সঙ্গে মহিলাদের তারা কতটা সম্মান করে তার প্রমাণও তুলে ধরেছে। দলের তরফে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে— বিজেপি দলটাই দেশের কাছে একটা লজ্জা! এমন একটা দল, যাদের প্রত্যেকটা নেতা-মন্ত্রীর মুখে নারীবিদ্বেষী কথা, মহিলাদের অসম্মানজনক টিপ্পনী। বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুৎসিত মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন-মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের
তবে এটা নতুন নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এর আগেও নানা কটূক্তি করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। প্রধানমন্ত্রী ভরা সভায় ব্যাঙ্গাত্মক সুরে বলেছিলেন, ‘দিদি… ওওও দিদি’। বিজেপির মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠুমকা লাগাচ্ছেন! এক ‘দালাল’ সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?’ অশ্লীলতার সীমা ছাড়ান দিলীপ ঘোষ, বলেছিলেন, ‘শাড়ি ছেড়ে বারমুডা পরুন।’
সুকান্ত মজুমদার প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থাপ্পড় মারতে উসকানি দিয়েছিলেন। উদাহরণের শেষ নেই। কোনও মহিলাকে অসম্মান করার অধিকার নেই বিজেপির। অবিলম্বে ক্ষমা চান শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। নইলে বাংলার মানুষ এমন জবাব দেবে, যা ইতিহাস মনে রাখবে।
অন্য আরও একটি পোস্টে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, বিজেপি নারীবিদ্বেষের পুরোনো কারখানা, যেখানে নারীদের জন্য সম্মান তৈরি হয় না, শুধু অপমান ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন হয়। তাঁদের কাছে নারী মানেই কটাক্ষ, অবমাননা আর কুৎসার বস্তু। অতীতেও তাঁরা নারীদের অপমান করেছে, বর্তমানেও করছে, ভবিষ্যতেও করবে— কারণ তাঁদের স্বভাব কখনও বদলাবে না। নারীকে মর্যাদা দেওয়ার অধ্যায় বিজেপির সিলেবাসেই নেই!

