নয়াদিল্লি: নির্লজ্জ, অমানবিক মোদি সরকার। আবার স্পষ্ট হয়ে উঠল বাংলার প্রতি কেন্দ্রের প্রতিহিংসা এবং বঞ্চনার ছবি। দার্জিলিঙে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল না কেন্দ্র। প্রায় ২০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একটা টাকাও দিল না কেন্দ্র। ৪ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর ভয়ঙ্কর দুর্যোগ আছড়ে পড়েছিল দার্জিলিঙে। পাহাড় তো বটেই, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাহাড়ের পাদদেশ, সমতলও। সবমিলিয়ে ১১০টি ধসে তছনছ হয়ে যায় একের পর এক জনবসতি।
আরও পড়ুন-দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পর্যালোচনা বৈঠকে পঞ্চায়েত দফতর, নাগরিক পরিষেবায় নজর প্রশাসনের
প্রকাশিত তথ্য বলছে, ভয়ঙ্কর দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩২ জন। জখম হয়েছিলেন ৪০ জন। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। গৃহহারাও হন অনেকে। ধ্বংস হয় সরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ২০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। কিন্তু পাহাড়ের দুর্গত মানুষের দিকে ফিরেও তাকাল না বিজেপি। এই হল গেরুয়া শিবিরের আসল রূপ। মোদি সরকারের এই নির্লজ্জ ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়েও দুর্গত অসহায় মানুষের প্রতি কতটা নির্মম, অমানবিক মোদি সরকার। দুর্গতদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার ছবি তুলে ধরে জননেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, দার্জিলিঙের ভয়ঙ্কর দুর্যোগে একটা টাকাও সাহায্য করেনি কেন্দ্র। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছে রাজ্য। মোদি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের জিএসটিও ফেরত দিচ্ছে না ওরা। দুর্যোগের সময় সাহায্যও করছে না।

