অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। গত বছর প্রথম পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে নতুন অতিথি গ্লসি আইবিস (Glossy Ibis) এর দেখা মিলেছিলো। গতবছর এই প্রজাতির পাখির সংখ্যা ছিলো মাত্র ২৫১টি। রায়গঞ্জের বনাধিকারিক ভূপেন বিশ্বকর্মা জানান, আশা ছিলো এবছর গ্লসি আইবিস সংখ্যায় বাড়বে। তবে সকলকে অবাক করে এবারে তাদের সংখ্যা হয়েছে আনুমানিক ১,৫০৬। ওপেন বিল স্টক, নাইটহেরনের, কর্মোরেন্ট থেকে এরা দেখতে এক্কেবারেই অন্যরকম। চকচকে বেগুনি-সবুজ ডানার এই পাখি। এরা সকালে এসে খাবার সঞ্চয় করে। এরপর ফিরে যায় বিকেলে বা সন্ধ্যায়। এখনও এই পাখিদের গতিবিধি এবং তাদের অবস্থান ও আচরণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলছে। সময় মিললে তবেই এই প্রজাতিকে চাক্ষুস করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। তাদের অবস্থান ও আচরণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই ক্রমাগত পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এই পাখিরালয়ে। বছরের মে মাসের শেষের দিকে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এই স্থানে। প্রায় ৬-৭ মাস এখানে থাকে পাখিরা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফিরে যায় নিজের দেশে। এদের মধ্যে গ্লসি আইবিস (Glossy Ibis) একটি পরিযায়ী জলচর পাখি যা ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা দেখতে চকচকে গাঢ় বেগুনি-সবুজ ডানা, লম্বা বাঁকা ঠোঁট এবং প্রজনন ঋতুতে উজ্জ্বল কালো রঙের পিঠ ও বাদামী হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন-দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’, আইনজীবীদের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

