নজিরবিহীন! বিহারে (Bihar) এবার পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্বে ভোট দানের হার ছিল ৬৯.১২ শতাংশ। ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর, দুটি ধাপে ২৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছিলেন বিহারের ভোটাররা চলতি বছর ইতিহাস তৈরি করেছেন। ১৯৫১ সালের পর থেকে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ভোটদানের হার রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল নারী ভোটারদের উৎসাহী অংশগ্রহণ ছিল এবার নজরকাড়া। তারা পুরুষদের তুলনায় বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছিলেন। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।
আরও পড়ুন-দিঘার স্কুল পালিয়ে কলকাতার নিউ টাউনে উদ্ধার তিন পড়ুয়া
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নারী ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ তুলে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ছে মহিলা ভোটার। তার কারণ মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই বেশিরভাগ বিজেপি শাসিত রাজ্য নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল তৈরী করছে। এই নিয়ে তিনি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, ”#BiharElection2025-এ নারী ভোটারের শক্তি প্রতিফলিত হল। আগামী বছর বাংলা দেখাবে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রীরা ভোটারদের কাছে এত জনপ্রিয়। “মহিলা ফ্যাক্টর” আগের চেয়ে এখন যে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলা বাহুল্য। খেলা হবে।”
আরও পড়ুন-ওটা বিহারের সমীকরণ, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন জিতবে: জবাব তৃণমূল কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নারীর ক্ষমতায়ন এবং আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ রূপায়ণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাপানের স্বনামধন্য ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছে সাম্মানিক ডি’লিট উপাধি। আন্তর্জাতিক পরিসরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সম্মান শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়, বাংলার ভাবমূর্তিরও উজ্জ্বল প্রতিফলনও বটেই।

