প্রতিবেদন : বাংলায় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের পর বিজেপির বাংলা দখলের দিবাস্বপ্নের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের এটাই জবাব। কারণ বাংলার মানুষ তাদের ঘরের মেয়েকেই চায়। এখানে বহিরাগত জমিদারদের কোনও জায়গা নেই, একাধিকবার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই। তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, নেতারাও এই কথাই বলেছেন।
আরও পড়ুন-দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতে রেলিং ভেঙে নদীখাদে গাড়ি পড়ে মৃত ৫
মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণে শুধুমাত্র একজনই আছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি মানুষের আশীর্বাদে আবারও থাকবেন। গিরিরাজ সিং বাংলার প্রাপ্য অর্থ না দিয়ে, বাংলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান, তাঁর মুখে বাংলা দখলের কথা মানায় না। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিজেপি একটা বিষবৃক্ষ! মুখ খুললেই বিষ ছড়াচ্ছেন বিজেপির ছোট-বড় নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বাংলাকে অপমান করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়েছেন। সব ধর্ম, সব জাতি, সব শ্রেণির মানুষ যে বাংলায় শান্তিতে বসবাস করে, সেই বাংলাকে তিনি বলছেন, রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশিদের রাজ্য। এসব অপমান বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। আগামীতে কড়া জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বাংলা। সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, বাংলা ও বাঙালিকে প্রত্যেকটা দিন ধরে অপমান করে চলেছে বিজেপি! ভিনরাজ্যে বাংলার মানুষকে হেনস্থা-মারধর চলছিল, বাংলার মনীষীদের কলুষিত করার অপচেষ্টা চলছিল। বাংলার মানুষকে যত অপমান করবে, বাংলা থেকে তত তাড়াতাড়ি বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই বাঙালি-বিদ্বেষী এই দলটা।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ওটা বিহারের সমীকরণ। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাংলায় প্রভাব পড়বে না। বাংলায় উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান ফ্যাক্টর। ২৫০-এর বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর সংযোজন, বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দিয়ে বিজেপির যে নেতারা বিবৃতি দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা অকারণ সময় নষ্ট করছেন। বাংলার মানুষের অধিকার, আত্মসম্মানকে আঘাত করে, শুধু অন্য রাজ্য দেখিয়ে মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায় না। এখানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ওদের রুখতে যা পরিকাঠামো প্রয়োজন, কংগ্রেস তা তৈরি করতে পারেনি। ওদের হারাতে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সফল হবেন। তা ওঁরা বারবার প্রমাণ করেছেন বাংলাতে। দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ‘আমার মাটি সইবে না, ইউপি-বিহার হইবে না/ বাংলা আমার বাংলা রবে, বন্ধু আবার খেলা হবে’।

