এত অল্প সময়ে বিপুল কাজ অসম্ভব, ক্ষোভ বিএলওদের

নির্বাচন কমিশনের নিত্যনতুন ফিরিস্তিতে নাজেহাল অবস্থা বিএলও-দের। অস্বাভাবিক চাপ সামলাতে না পেরে একাধিক জায়গায় কার্যত বিদ্রোহে ফুঁসে উঠছেন তাঁরা।

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের নিত্যনতুন ফিরিস্তিতে নাজেহাল অবস্থা বিএলও-দের। অস্বাভাবিক চাপ সামলাতে না পেরে একাধিক জায়গায় কার্যত বিদ্রোহে ফুঁসে উঠছেন তাঁরা। দফায় দফায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষোভ প্রকাশ, আত্মহত্যার হুঁশিয়ারির পরে এবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন বিএলও-রা। সর্বত্র দাবি একটি—অল্প সময়েই মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ কাজ তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের একটি বিএলও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রীতিমতো কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়। অনেকেই জানান অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা। কেউ দাবি করেন, কাজের চাপে তাঁদের আত্মহত্যা করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। শুক্রবার হাওড়ার পরে এবার বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে। শনিবার বিএলও-দের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএলও-রা। শনিবারও বিক্ষোভ দেখান হাওড়ার বিএলও-রা। শিলিগুড়িতেও একই পরিস্থিতি। এছাড়াও বিক্ষোভ দেখান ব্যারাকপুরের বিএলওরাও। যে সময়ের মধ্যে যে কাজের বোঝা তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা কোনওভাবেই তাঁরা বহন করতে পারবেন না, দাবি বিএলও-দের।

শুক্রবার হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় বিএলও-রা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। শনিবারও একই দাবি বিএলও-দের। তাঁরা জানান, তাঁদের বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ফর্ম ফিলআপ করার পর সংগ্রহের কাজ এখনও বাকি। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য আরও সময় যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিএলও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই ফর্ম কীভাবে ডিজিটাল অ্যাপে তুলতে হবে তার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও দেখে তাঁদের ফর্মের তথ্য বিএলও অ্যাপে তুলতে হবে। বিএলও-দের দাবি, এক একটি ফর্ম তুলতে আধ ঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট সময় লাগছে। তার ফলে তাঁদের হাতে যে পরিমাণ ফর্ম রয়েছে, তার কাজ শেষ করতে একটি দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। যা দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন।
সাধারণ নাগরিকদের ফর্মের তথ্য ডিজিটাল করার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ডিজিটাল তথ্যই একজন ভোটারের নির্ভুল তথ্য হিসাবে সারাজীবন বহন করতে হবে। অথচ বিএলও-দের একাংশের এমনটাও দাবি, কমিশনের তরফে প্রাথমিকভাবে ফর্ম বিলি ও ফর্ম সংগ্রহ করে জমা দেওয়া কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিএলও-দের ঘাড়ে। এবার ফর্মের তথ্য নির্ভুলভাবে ডিজিটাল ফরম্যাটে তোলার দায়ও চাপল বিএলও-দের কাঁধেই। ফলে কমিশনের তুঘলকি আচরণে ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিএলও-রা।

Latest article