প্রতিবেদন : এসআইআর-আতঙ্কে ফের মৃত্যু বাংলায়। এবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। ফর্ম ফিল-আপের আতঙ্কে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে প্রাণ হারালেন এক প্রৌঢ়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে এনে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আবার, বাগুইআটিতেও এসআইআর-আতঙ্কে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টার খবর মিলেছে।
এসআইআর-এর প্রক্রিয়া একজন সাধারণ গ্রামের মানুষের কাছে কতটা জটিল এবং দুশ্চিন্তার, আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। কখনও নামের বানান, কখনও ঠিকানার জটিলতায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরাও ফর্ম ফিলআপ নিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন। ধান্দাবাজ বিজেপি আর তার দালাল নির্বাচন কমিশনের ছড়ানো আতঙ্ক থেকেই প্রবল দুশ্চিন্তায় ভুগে কেউ আত্মহত্যা করছেন, কেউ অন্যভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন। সেই তালিকায় এবার যোগ হল দত্তপুকুরের প্রৌঢ়ের নাম। খবর পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দত্তপুকুর থানার চাটুরিয়া এলাকার বাসিন্দা জিয়ার আলি (৬৫)। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের সকলের নাম রয়েছে। সেইমতো তিনি এনুমারেশন ফর্মও পেয়েছেন। কিন্তু সেই ফর্ম পাওয়ার পর থেকেই তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েন বলে দাবি পরিবারের। সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছিলেন ওই প্রৌঢ়। বয়সের কারণে এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার উপর এসআইআর-এর ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে যদি কোনও সমস্যা হয়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, ফর্মের বেশ কিছু ফটোকপি করে তিনি সঠিকভাবে ফর্ম ফিলআপ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সেই দুশ্চিন্তা থেকেই শুক্রবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকেরা তাঁকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে দ্রুত বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। এরপর তাঁকে এনআরএস-এ স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, এসআইআর-আতঙ্কে বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরেও সুকুমার ঘোষ নামের এক ব্যক্তি এদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

