বেঙ্গল সাফারি পার্কে রেকর্ড আয়, নতুন বছরেই শুরু লায়ন সাফারি

গত বছর দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত মোট আয় ছিল ৬১ লক্ষ। সেই তুলনায় এ বছরের অগ্রগতি নজিরবিহীন বলেই মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

Must read

প্রতিবেদন : রেকর্ড আয়, বাড়তি আকর্ষণ। সব মিলিয়ে নতুন উৎসাহে ভরপুর বেঙ্গল সাফারি পার্ক। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর অক্টোবরে এক মাসেই আয় হয়েছে ৭১ লক্ষ টাকা। উদ্বোধনের পর এই প্রথম এত বড় অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ হল। গত বছর দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত মোট আয় ছিল ৬১ লক্ষ। সেই তুলনায় এ বছরের অগ্রগতি নজিরবিহীন বলেই মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-লেখকদের লেখক কমলকুমার

বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, গতবার পুজোর মরশুমে আয় হয়েছিল ৬১ লক্ষ। এ বছর শুধু অক্টোবরে ৭১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সামনে আরও বৃদ্ধি হবে বলেই আশা করছি। বাড়ছে পর্যটকের ভিড়, আর তার সঙ্গে বাড়ছে আয়— এভাবেই বছর-বছর সাফল্যের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বেঙ্গল সাফারিতে। এই সাফল্যের সূত্র ধরেই বহু প্রতীক্ষিত লায়ন সাফারি ২০২৫ সালের পুজোর আগেই শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেন্ট্রাল জু অথরিটি পরিকাঠামো-সংক্রান্ত কিছু ত্রুটি নির্দেশ করায় প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়। সিজিএ-র নির্দেশ মেনে সংশোধনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। নতুন করে আবেদন পাঠানো হয়েছে এবং অনুমোদন মিললে ২০২৬ সালের শুরুর দিকেই লায়ন সাফারি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-পাঁচদফা দাবিতে শিলিগুড়িতে বাংলা পক্ষের দীর্ঘ মহামিছিল

এ মুহূর্তে পার্কে রয়েছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জু থেকে আনা সিংহযুগল— সুরজ এবং তানিয়া। চলতি বছর তাদের তিনটি শাবকের জন্ম হয়েছে, যা লায়ন সাফারির সম্ভাবনা নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে ১৮টি নতুন প্রাণী আনা হয়েছে বেঙ্গল সাফারিতে। কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া শেষ হলে ডিসেম্বরের শুরু থেকে পর্যটকেরা এই প্রাণীদের দেখতে পারবেন। নতুন আগতদের তালিকায় রয়েছে— হিমালয়ি ব্ল্যাক বেয়ার এক জোড়া, পেইন্টেড স্টর্ক দুই জোড়া, স্পুনবিল এক জোড়া, ঘরিয়াল এক জোড়া এবং গ্রিন ইগুয়ানা তিন জোড়া।

Latest article