পুরুলিয়ায় শুরু খাদ্য দফতরের সরকারি মূল্যে ধান কেনা, ১১০ ক্রয়কেন্দ্র কিনবে ৩ লক্ষ টন

এবছর ভাল বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় ধানের উৎপাদন বেড়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে। তাঁদের টাকার দরকার।

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : কৃষকদের হাতে সময়মতো ধান বিক্রির টাকা তুলে দিতে পুরুলিয়ায় শুরু হয়ে গেল সরকারি সহায়তা মূল্যে আগাম ধান কেনা। এবছর ভাল বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় ধানের উৎপাদন বেড়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে। তাঁদের টাকার দরকার। তাই ফসল কাটার মরশুম শুরু হতেই ধান কেনা শুরু করে দিল খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। জেলায় ২১টি সিপিসি ক্রয়কেন্দ্র, ৫টি ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্র, ২৭টি মহিলা স্বনির্ভর দলের ক্রয়কেন্দ্র, ৪টি ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানি, ৭টি ল্যাম্পস সোসাইটি, ৪৪টি সমবায় এবার ধান কিনছে।

আরও পড়ুন-বেঙ্গল সাফারি পার্কে রেকর্ড আয়, নতুন বছরেই শুরু লায়ন সাফারি

লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৪৮ টন। এখন পর্যন্ত কেনা হয়েছে প্রায় ৩৫ টন।এবার ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য ২,৩৬৯টাকা। ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি করলে কুইন্টাল-পিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা পাবেন কৃষক। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর জানিয়েছে, ধান কেনার উপর নজরদারি রাখতে প্রতিটি ক্রয়কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি থাকছে। মনিটরে কলকাতা ও পুরুলিয়া থেকে নজরদারি করতে পারবেন দফতরের আধিকারিকেরা। পুরুলিয়ায় মানুষ পৌষ মাসেই বেশি ধান বিক্রি করেন। পৌষ পরবে নতুন পোশাক কেনেন অনেকে। খাদ্য ও সরবরাহ দফতর চায় তার আগেই বিক্রেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিতে। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ক্রয়মূল্য বেড়েছে কুইন্টাল-পিছু ৭৯ টাকা। তাঁর আশা, এবার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাবে।

Latest article