মারাত্মক! AI দিয়ে দিল্লি AIIMS-এর এক্সরে রিপোর্ট

শুক্রবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)–এর রেডিয়োলজি বিভাগে এক রোগীর বুকের এক্সরে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

Must read

প্রযুক্তির গুঁতো! দিল্লি এইমসের এক্সরে রিপোর্ট বানাতে চিকিৎসক দরকার পড়ল না আর। রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)–এর মাধ্যমেই! সেই ‘এআই’ কথাটির উল্লেখ আছে বলেই ওই এক্সরে রিপোর্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। রিপোর্টটি কতটা ঠিকঠাক এই নিয়ে বিভিন্ন মহলেই উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে রেডিয়োলজিস্টের আর দরকার নেই?

আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টা পরেও যোগীরাজ্যে পাথরখনি ধসে আটকে ১৫ শ্রমিক! মৃত ২

যদিও এইমস এর ডাক্তাররা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের মতে এটি চূড়ান্ত নয়, প্রাথমিক রিপোর্ট। বিষয়টি পরীক্ষামূলক। শুক্রবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)–এর রেডিয়োলজি বিভাগে এক রোগীর বুকের এক্সরে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রিপোর্টের নীচে লেখা— ‘ভেরিফায়েড/এআই–রেডিয়োলজিস্ট’। বোঝা গেল পাঁচ বছরের এক শিশুর বুকের এক্সরে প্লেট বিশ্লেষণ করে কোনও রেডিয়োলজিস্ট রিপোর্টটি তৈরি করেননি, ‘অস্বাভাবিক কিছু নেই’ লিখে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। রিপোর্ট ভাইরাল হতেই দেশে রেডিয়োলজিস্টের বিশ্লেষণ ছাড়া এআই রোগনির্ণয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। চিকিৎসক মহলেও এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।

আরও পড়ুন-সবার প্রিয় অভিনেতা অসিতবরণ

প্রসঙ্গত, রিপোর্টটির নীচে ডিসক্লেমারেই লেখা রয়েছে— এটি প্রাথমিক এআই-জেনারেটেড রিড, রোগীর ক্লিনিক্যাল ইতিহাস ও অন্য পরীক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। হাসপাতাল ও ব্যবহৃত এআই সফটওয়্যার সংস্থা কিওর.এআই এই রিপোর্টের দায় নেবে না। এই দাবি নিয়েই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে যদি এটি চূড়ান্ত রিপোর্ট না হয়, তবে ‘ভেরিফায়েড’ শব্দটি ব্যবহৃত হল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে রোগ নির্ণয়ে অসুখের ধরণ, রোগীর উপসর্গ, ইতিহাস এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ এআই দ্বারা সম্ভব নয়। তবে ওই এক্সরে রিপোর্টটি নিয়ে এইমসের তরফে সরকারি কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

Latest article