প্রতিবেদন : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (sheikh hasina) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে-দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মুজিবকন্যা হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতেই ইউনুস-আদালতের এই বিচার এবং ফাঁসির সাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন।
এই বিভাগের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গতবছর আন্দোলন দমনের নামে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল এবং যারা সেই ঘটনার শিকার হন, তাঁদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। বাংলাদেশের আদালতে চলা এই বিচারপর্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘ বিশেষ অবগত নয়। তবে এই বিচারপ্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্যভাবে হওয়া উচিত। কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে তার বিচার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডেই হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে আরও বিনিয়োগ ৯ হাজার কোটি টাকা
রাষ্ট্রসংঘের আরও বক্তব্য, এই বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষিত হয়েছে। তাই যেকোনও পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্রসংঘ এই বিচারপ্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সততা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামিনেস্টিও। অন্যদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (sheikh hasina) মৃত্যুদণ্ডের রায়ে নতুন করে প্রতিবাদী আগুনে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ। দেশ জুড়ে শাটডাউনের ডাক দিয়েছে হাসিনাপন্থী আওয়ামি লিগ। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে নেমেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। জায়গায়-জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজির অভিযোগ। থানাতেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা এবং বরিশালে অন্তত দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

