যোগীরাজ্যে অপদার্থ প্রশাসনের পরিণতি! গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশেরই ধর্ষণের শিকার মহিলা

শুধুমাত্র এইটুকু করেই থেমে যায়নি পুলিশ, রীতিমতো চোখ রাঙিয়ে ওই মহিলার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়েও নিয়েছে তারা।

Must read

লখনউ: গণধর্ষণের প্রতিকার চাইতে গিয়ে আবার পুলিশেরই গণধর্ষণের শিকার হলেন নির্যাতিতা। শুধুমাত্র এইটুকু করেই থেমে যায়নি পুলিশ, রীতিমতো চোখ রাঙিয়ে ওই মহিলার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়েও নিয়েছে তারা। ন্যক্কারজনক এবং ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের বুলন্দশহরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্যে। আমজনতার অভিযোগ, যোগী প্রশাসনের অপদার্থতার কারণেই ঘটে গেল এত লজ্জাজনক ঘটনা। ঠিক কী হয়েছিল ব্যাপারটা? বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। ৪ যুবক মিলে ধর্ষণ করেছিল ২৮ বছরের ওই মহিলাকে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু পুলিশের কাছে সুবিচার পাওয়া তো দূরের কথা, খুরজা এলাকার ২ পুলিশকর্মী তাঁকে দু’দিন ধরে আটকে রেখে তাঁকে আবার ধর্ষণ করে। সবমিলিয়ে অবশ্য ৪ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। গত সপ্তাহে আইজি আর এস পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।

আরও পড়ুন-চলন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন, ঝলসে মৃত্যু সদ্যোজাত, চিকিৎসক সহ ৪ জনের

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, কয়েকমাস আগে ৪ যুবক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আলিগড়ে। সেখানে ৪৮ দিন ধরে আটকে রাখা হয় তাঁকে। মাদক খাইয়ে বারবার গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। সুযোগ বুঝে ধর্ষকদের ডেরা থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান মহিলা। সমস্ত বিষয়টি জানান পুলিশকে। কিন্তু সেখানেও লোলুপ পুলিশের কুনজর। এক সাব-ইন্সপেক্টর নিজের বাড়িতে ডাকে নির্যাতিতাকে। সরল বিশ্বাসে তিনি সেখানে গেলে তাঁকে দু’দিন ধরে ধর্ষণের পালা। আর এক পুলিশকর্মী আবার নগদ ৫০ হাজার টাকা জোর করে আদায়ও করে অসহায় ওই মহিলার কাছ থেকে। বিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার স্বামী থানায় গেলে তাঁকেও আটকে রেখে মারধর করা হয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, অভিযুক্ত ২ পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তাদের। গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র একজন অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠতা থাকায় তাদের আড়াল করছে পুলিশ।

Latest article