SIR: অপরিকল্পিত অভিযান বন্ধ করার আহ্বান নির্বাচন কমিশনকে, মালে BLO-র মৃত্যুতে সরব মুখ্যমন্ত্রী

Must read

অত্যাধিক কাজের চাপে আত্মঘাতী বিএলও শান্তি মণি এক্কা। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে মৃতার বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীও বিএলওদের কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, “গভীরভাবে মর্মাহত এবং দুঃখিত।
আজ আবারও, আমরা জলপাইগুড়ির মালে একজন বুথ লেভেল অফিসারকে হারিয়েছি — শ্রীমতি শান্তি মুনি এক্কা, একজন আদিবাসী মহিলা, একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন। SIR-এর কাজের অসহনীয় চাপের মুখে আত্মহত্যা করেছেন।
SIR শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন — কেউ ভয় এবং অনিশ্চয়তার কারণে, আবার কেউ চাপ এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে।
তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের অপরিকল্পিত, কাজের চাপের কারণে এত মূল্যবান জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে যে প্রক্রিয়ায় ৩ বছর সময় লাগত, এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনীতির গুরুদের খুশি করার জন্য ২ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। BLO-দের উপর অমানবিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আমি নির্বাচন কমিশনকে বিবেক দিয়ে কাজ করার এবং আরও প্রাণহানির আগে অবিলম্বে এই অপরিকল্পিত অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

আরও পড়ুন- ফের আত্মহত্যা! SIR আতঙ্কে মৃত্যু রাজ্যে

মালে বিএলও-র মৃত্যুতে শোকাহত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী পোস্ট শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন,”ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং তাদের অপরিকল্পিত বেপরোয়া অমানবিকতার কারণে আরেকটি মূল্যবান জীবন হারিয়েছে। নিরীহ মানুষের এই মৃত্যুর দায় আপনার।”

মৃতা শান্তিমণি এক্কা লবাজারের রাঙামাটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। সম্প্রতি এসআইআরের কাজের দায়িত্ব পেয়েছিলেন । বিএলও হওয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছিলেন, জমা নিচ্ছিলেন। অর্থাৎ কাজের চাপ ছিল প্রবল। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বাড়িতে ফিরে রীতিমত কান্নাকাটি করতেন শান্তিমনি এত চাপ নিতে পারছেন না বলেও জানিয়ে ছিলেন। এরই মধ্যে আজ সকালে বাড়ির উঠোনে মেলে মহিলার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খবর পেয়েই মৃত বিএলও’র বাড়িতে যান অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।

এসআইআর এর নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন এই প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকে রাজ্যজুড়ে উঠে এসেছে একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার ছবি। ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন অনেক মানুষ। এর পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীরা বিএলও দায়িত্ব পেয়ে ওই অমানুষিক চাপ সামলাতে পারছেন না। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিএল ওরা কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহা হয়নি। অতিরিক্ত কাজের চাপে দিন কয়েক আগে ব্রেন স্ট্রোকে প্রাণ হারান মেমারির চক বলরামপুর এর দু’নম্বর ব্লকের বি এল ও দায়িত্বে থাকা নমিতা হাঁসদা। এসবের পরেও নির্বাচন কমিশনের কোন হেল্দোল দেখা যায়নি। এর ফলে কেউ ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে আবার কেউ কাজের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এর দায় নির্বাচন কমিশন নেবে তো?

Latest article