এবার আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে থানায় FIR দায়ের কল্যাণের

Must read

রাজভবনে বোমা-বন্দুক মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলেন তৃণমূল সাংসদ। আগেই কল্যাণ জানিয়েছিলেন, “চিঠি পাঠানো মানেই FIR নয়।”

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বিহার নির্বাচন ফলাফলে প্রসঙ্গে আনন্দ বোস বলেন, “ভোট হওয়া উচিত ব্যালটে, বুলেটের মাধ্যমে নয়। রাজ্যের মানুষ SIR নিয়ে বিভ্রান্ত। তাঁদের বিষয়টা বোঝাতে হবে।” এই মন্তব্যের পরেই ওইদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আনন্দ বোসকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ (Kalyan Banerjee) বলেন, ”রাজ্যপালকে আগে বলুন তাঁর রাজভবনে বিজেপির অপরাধীদের যাতে না রাখে। রাজভবনে অপরাধী রাখছেন আর তাদের একটা করে বন্দুক দিচ্ছেন, বোমা দিচ্ছেন। বলছেন, মেরে এসো তৃণমূলের লোকেদের। আগে এসব বন্ধ করুন।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাজভবনে বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালান রাজ্যপাল। বম্ব স্কোয়াড, কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, কলকাতা পুলিশ ও রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে বাহিনী অভিযান চালায়। ছিলেন রাজ্যপালও। এর পরে মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে কল্যাণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহকে উস্কে দেওয়া অর্থাৎ বিএনএস এর ১৫১, ১৫২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ১৯৭ নং ধারা নিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ, বিএনএস-এর ১৯৬-এর ১ (এ) ধারা আনা হয়েছে। পাশাপাশি জনমতের আতঙ্ক সৃষ্টি অর্থাৎ বিএনএস-এর ১৫৩ ১ (বি), ১৫৩ ১( সি), ১৫৩ (২) আনা হয়।

আরও পড়ুন- গণধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধর্ষিতা! বিজেপিকে ধুয়ে তীব্র নিন্দা তৃণমূলের

এই বিষয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, রাজ্যপাল আমাদের সন্ত্রাসবাদী, দুষ্কৃতী সাজাতে চাইছেন। আমার বাংলায় সেটা করতে দেব না। একই সঙ্গে পেশায় আইনজীবী কল্যাণ বলেন, “একটা চিঠি দেওয়া মানেই এফআইআর নয়। আমি সি ভি আনন্দ বোসের থেকে আইন বেশি বুঝি।”

এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানা আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অপরাধে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ১৭৩(১-)-এর অধীনে অভিযোগ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ৬১, ১৫২, ১৯২, ১৯৬ ও ৩৫৩। সেখানে প্রয়াত পি. কে. বাসুদেবন নায়ারের পুত্র সি. ভি. আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদ্রোহ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপকে উত্তেজিত করার জন্য কিছু বিবৃতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের উস্কানি দিয়েছেন আনন্দ বোস যা ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে।

Latest article