ঋতু বদলে

হেমন্তের শেষ ঋতু পরিবর্তনের শুরু। এখন রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা আবার দিনে চড়া রোদ। শীত একেবারে দোরগড়ায় কড়া নাড়ছে। আরামের শীতকাল যেমন নরম, কোমল তেমনই আবার কঠোরও। ত্বকে শীতটান, শুষ্ক, রুক্ষ গা-হাত-পা— সবমিলিয়ে যেন বেহাল দশা। তাই এইসময় থেকেই জরুরি যত্ন। কীভাবে? রইল তার গাইডলাইন। লিখলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী 

Must read

ত্বকের পরিবর্তন
সেদিন অফিস বেরিয়েছিল ঋতুপর্ণা। সকালের রোদটা ইদানীং গায়ে বেশ ভাল লাগছে। কিন্তু অফিসে সারাদিন এসির মধ্যে থেকেও স্বস্তি পেল না সে। শরীরে কেমন একটা অস্বস্তি। মাঝে মাঝে ঘর থেকে বেরিয়ে করিডরে দাঁড়িয়ে থাকছিল কারণ শীত করছিল। আবার বাইরে বেরিয়ে খানিকক্ষণ দাঁড়ালেও বেশ গরম লাগছে। এ তো বড় জ্বালা! রাতে ফেরার পথে ট্রেনে বেশ কনকনে হাওয়া। কানে শোঁ-শোঁ করে বাতাস ঢুকছে। ঠোঁট বেশ শুকনো লাগছে। গালে টান ধরছে। ঋতুপর্ণা ভাবছে চাদরটা সঙ্গে থাকলে ভাল হত। আসলে ঋতু বদলাতে শুরু করেছে। এই সময়টা বড় বিশ্রী। ঠান্ডা পুরোপুরি পড়ে না, আবার গরমও পুরো কমে না। কাউন্টডাউন পর্ব। আর মাত্র কিছুদিন। এরপরেই ভরা শীত। সিজন চেঞ্জের সময়  ঋতুপর্ণা সবচেয়ে যে সমস্যায় ভোগে তা হল পা পরিষ্কার করা। পায়ের এমন দশা হয় যে বলার নয়। ফরসা পা কেমন যেন কুচকুচে কালো দেখতে লাগে। আসলে এই সময় আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বাতাসে জলীয়বাষ্প সবটাই ভারসাম্যহীন থাকে। আবহাওয়াও বুঝি অভিযোজন করে এই সময় আমাদের মতো করেই। ত্বকের সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে ত্বকে খড়ি ফোটে, চুলকানো ভাব, শুষ্কতা দেখা দিতে শুরু করে। শীতের শুরুতে মৃতকোষ খুব বেশি করে উঠতে শুরু করে এবং ত্বকের উপরিভাগে জমে যায়। ওর মধ্যে ধুলো-ময়লা পড়ে ধীরে ধীরে ত্বক আরও শুষ্ক, কালচে, ডাল-ড্যামেজ হতে থাকে। ত্বক নিজেই কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে। সেই সঙ্গে চুলের অবস্থাও তথৈবচ। ভীষণ শুষ্ক প্রাণহীন হয়ে পড়ে চুল। এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করলেও পুরোটা সম্ভব হয় না। তাই সিজন চেঞ্জের শুরু থেকেই দরকার অতিরিক্ত যত্নের।
ত্বকের বিপত্তি
শীতের শুষ্ক ত্বক বলি ঠিকই আসলে এবং ডিহাইড্রেটেড ত্বকের মধ্যে কিন্তু বিস্তর ফারাক। শুষ্ক ত্বক হল ত্বকের একটা ধরন, যেটা নিয়ে আমরা অনেকেই জন্মাই। শুষ্ক ত্বক হয়  জিনগতভাবে সেবাম তেলের অভাব থাকলে, এর ফলে সারা শরীরে কুঁচকে যায়, নিষ্প্রভ এবং ফ্লেকি হয়। এটি শুধু মাত্র মুখে নয়, সারা শরীরের ত্বকের এই শুষ্কতা থাকে। আর ডিহাইড্রেটেড ত্বক হল এমন এক ধরনের অবস্থা যা জলের পরিমাণের অভাবের কারণে ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। ডিহাইড্রেটেড ত্বক কখনও কখনও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে শীতে যদি ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই জরুরি হল পর্যাপ্ত জল খাওয়া। এর পাশাপাশি নিয়মিত ক্লেনজিং, টোনিং, এক্সফলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজিং।
 কিন্তু ক্লেনজিং মানে বারবার মুখ ধোওয়া নয়। বিশেষত শীতে না করাই ভাল এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা চলে যায়। দিনে দুবার ক্লেনজিং করুন সকালে এবং রাতে। এরপর একটা টোনার তুলোয় করে নিয়ে থুপে থুপে মুখে লাগিয়ে কিছুটা সময় ছেড়ে দিন। শেষে ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার দিন। খুব বেশি তেলা ত্বক হলে হালকা বা ওয়াটার বেস ময়েশ্চারাইজার আর শুষ্ক ত্বক হলে ভারী বা ক্রিম বেস ময়েশ্চাইরাইজার দিন।
 ক্লেনজিং করলে রোমকূপের মুখে মৃতকোষ বা ধুলো-ময়লা জমে না। মুখে সরাসরি সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। শুধু যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে যদি এই সময়  বাড়ে তাহলে সপ্তাহে একদিন কী দু’দিন অ্যালকালাইন ওয়াশ অর্থাৎ ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধোবেন।
  এর সঙ্গে ভাল করে তেল মাখা। অর্থাৎ যতটা সম্ভব ত্বকে গা-হাত-পা যেন ভেজা ভাব থাকে। মুখে লাইট অয়েল মাখা যেতেই পারে। স্নানের আগে অয়েল ম্যাসাজ অনেক সমস্যার সমাধান।
ঘরোয়া ক্লেনজার
 হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক কিছু যা আপনার রূপটানের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। এক চামচ মধু এবং দু চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। শুধু দুধ দিয়েও মুখ পরিষ্কার করতে পারেন কারণ দুধ খুব ভাল ক্লেনজার।
  বেসন হল দারুণ প্রাকৃতিক ক্লেনজার এবং মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। তাই বেসন অল্প গুলে মূখে খানিকটা সময় মেখে রেখে তোলার আগে হালকা ম্যাসাজ করে তুলুন।
  সমান পরিমাণে লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি  ক্লেনজার তৈরি করে নিন। খুব ভাল এই ক্লেনজার।
ঘরোয়া টোনার
  অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য তা ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে। ফলে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এক কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং তিন কাপ জল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। মুখ পরিষ্কার করে একবার টোনার স্প্রে করুন।
  গোলাপজল হাতের কাছেই  থাকা ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখার অনবদ্য উপাদান। এক কাপ গোলাপ জলের সঙ্গে দু-তিন ছিপি গ্লিসারিন মিশিয়ে বোতলে করে রেখে দিন। রোজ মুখ ধুয়ে স্প্রে করুন।
  শীতে কমলালেবুর রস খুব ভাল টোনিং-এর কাজ করে।
এক্সফলিয়েশন
  এক্সফলিয়েশন শীতে করুন তবে সপ্তাহে একদিন। কারণ স্ক্রাবিং ত্বক খুব শুষ্ক করে দেয়। সফট গ্র্যানিউনলস দেওয়া কোনও স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে। এতে রোমকূপের ময়লা গোড়া থেকে খুব ভাল পরিষ্কার হবে। উজ্জ্বলতা বাড়বে।
  চালের গুঁড়ো, মধু দু-তিন ফোঁটা, বেসন দিয়ে বাড়িতেই স্ক্রাবার বানিয়ে মাখতে পারেন। স্ক্রাবিংয়ের পর অবশ্যই টোনার ব্যবহার করুন।
ত্বকে ময়েশ্চার ফেরাতে
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই, পলিফেনল এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে। যা দারুণ প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। জলে মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। মধু হল প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট। মধুর মধ্যে থাকা ময়েশ্চারাইজিং উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে। ত্বকে সরাসরি মধু লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। খুব ভাল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।  হালকা গরম  নারকেল তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ওমেগা-৩ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। একটি পাকা অ্যাভোকাডো নিন। এটি ব্লেন্ড করে সরাসরি ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া বাজারচলতি সেরামাইড, হাইলুরনিক অ্যাসিড এমন সব উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন শীতে।
কমলালেবু
কমলালেবু অল্প বয়সি থেকে বয়স্ক-ত্বক সবার জন্য খুব ভাল। অরেঞ্জ পিল পাউডার বা কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে মধু, বেসন দিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বা শুধু মধু দিয়েও লাগানো যেতে পারে আবার শুধু কমলালেবু খোসা গুঁড়ো জলে গুলে সপ্তাহের তিনদিন প্যাক করে লাগানো যেতে পারে।
ঘরোয়া ফেসপ্যাক
 অর্ধেক অ্যাভোকাডো এবং এক চা-চামচ মধু ভাল করে চটকে মেখে নিন। এ বার এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
 আধকাপ দুধ এবং বড় চামচের দু চামচ ওটমিল ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার মেখে নিয়ে মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখুন। ধোয়ার সময়ে হাত দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে তুলে নিন। মরা কোষ সরিয়ে ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনবে। ত্বকে ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করবে।
 আধকাপ মুসুর ডাল ভিজিয়ে বেটে নিন। এবার ওর সঙ্গে মেশান দুধ। ভাল করে একটা ঘন প্যাক করে নিন। ২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে নিন।
গা-হাত-পায়ের যত্নে
  শীতের শুরু থেকেই গা-হাত-পায়ের যত্ন নিন। কারণ দেরি করলে কোনও কিছু রোধ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল দুটোই খুব ভাল। স্নানের আগে বা স্নানের পরে সামান্য ভেজা গায়ে নিয়মিত অলিভ অয়েল বা ভাল কোনও বডি অয়েল ব্যবহার করুন যা  হাত-পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। শেষে বডি লোশন ম্যাসাজ করে নিন।
 পায়ের অবস্থা ঋতু পরিবর্তনের সময় সবচেয়ে খারাপ দশা হয়। তাই নিয়মিত রাতে শোবার আগে হালকা গরম জলে এক ছিপি ভিনিগার বা অর্ধেক লেবুর রস এবং বেকিং সোডা দিয়ে ডুবিয়ে রাখুন।
  ভেজা অবস্থায় পিউমিস স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করুন। মরা কোষ উঠে যাবে। এরপর কোনও মাইল্ড ফুট ক্রিম বা লোশন ম্যাসাজ করে নিন।
 গরমে যাঁদের হাত-পা বেশি ঘামে, শীতে তাঁদেরই বেশি রুক্ষ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আবার থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, সিওপিডি, অ্যালার্জি, ভিটামিনের অভাব থাকলেও অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয়।
 দুধ আর বাসি রুটি চটকে পেস্ট করে সারা গায়ে মাখুন। এটা খুব ভাল ক্লেনজার এবং শীতে ত্বক দারুণ উজ্জ্বল সুন্দর করে রাখবে এই পেস্ট।
 এই সময়টা কোনও কাজ শুরুর আগে হাতে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। জলের কাজ করলে হাতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে গ্লাভস পরে নিন। যতটা সম্ভব কম জল ঘাঁটুন। এতে হাত-পা কম রুক্ষ হয়।
  হাত অতিরিক্ত শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে, হাতে মাসাজ করে মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে নিন। হাতে আলাদা ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। হ্যান্ড অ্যান্ড ফুট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁট
ঠোঁট আর চোখের চারপাশ সবচেয়ে সংবেদনশীল স্থান ত্বকের। শীতের শুরু থেকে আলাদা করে যত্ন নিন ঠোঁট তার চারপাশের ত্বক এবং চোখের। আন্ডার আই ক্রিম এবং লিপবাম বা ভেষজ কোনও লিপ ক্রিম রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
চুলের যত্নে
শীত পড়ার আগে থেকেই বাড়তে থাকে খুশকি, চুল পড়া, স্ক্যাল্পে চিটচিটে ভাব ইত্যাদি। এই সময় অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু করেন না। স্ক্যাল্প অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। তার উপর সঙ্গী দূষণ। সব মিলিয়ে চুলের খারাপ  দশা হতে শুরু করে।
 এই সময় থেকেই  রাতে শোবার আগে চুলের গোড়ায় একটু গরম তেল ম্যাসাজ আপনার চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করে দেবে। তেল চুলের আর্দ্রতাকে ধরে রাখে। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করে। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন। ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। অবশ্যই সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু।
 এরপর কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে হবে। চুলের মধ্যিখান থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখুন। ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে। শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও চুলকে নরম ও কোমল রাখে।
 অ্যালোভেরা জেল অতিরিক্ত সিবাম ক্ষরণ বন্ধ করে, খুশকি দূর করে ও সিবাম উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালোভেরা জেল চুলে ম্যাসাজ করুন এরপর  হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১৫-৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন।
 এই সময় যাদের খুশকি হয় বেশি তাঁরা  শ্যাম্পু করার পরে নারকেলের জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন সপ্তাহে দুদিন। এটি খুশকি কমাবে এবং চুলকানি বা সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করবে। চুল শুষ্ক থাকলে সেই শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে।
হেয়ার প্যাক
অনেকেরই ঋতু পরিবর্তনে চুল পড়ে। এক্ষেত্রে নারকেল তেল, পেঁয়াজের রস এবং ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণ মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে, চুল পড়া বন্ধ করবে এবং শীতে চুল থাকবে নরম উজ্জ্বল।
হাইড্রেটিং হেয়ার মাস্ক
পাকা কলা দুটো, নারকেল তেল এক বড় চামচ, মধু এক চা চামচ এবং ভিনিগার এক চা চামচ মিশিয়ে প্যাক করে চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে তুলে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।

Latest article