ট্রাম্প ফ্যাসিস্ট! উত্তর দিয়ে ফেললেন মামদানি

Must read

মামদানি (Donald Trump_Zohran Mamdani) ক্ষমতায় এলে সম্পূর্ণ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া শহরে বাস করতে হবে। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময় এভাবেই জোহরান মামদানিকে বিদ্ধ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে মামদানি মেয়র হওয়ার পরে তাঁর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আমূল বদলে ফেললেন ট্রাম্প। যার জেরে তাঁর সামনে ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলা নিয়ে মামদানিকে প্রশ্ন করা হলে, মামদানিকে অস্বস্তিতে পড়তে দেখে শেষে নিজেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্পর্কের বরফ যে এত তাড়াতাড়ি গলে যাবে, তা বোধহয় মার্কিন রাজনীতিকরা ধারণা করতে পারেননি।

৫ নভেম্বর নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন জোহরান মামদানি। তারপর থেকে তিনি বসে থাকেননি একেবারেই। শহরের বিভিন্ন ইস্যুগুলিতে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এবং সেই সূত্রেই রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুক্রবার। লক্ষ্য ছিল, নিউইয়র্ক শহরকে নাগরিকদের বাসযোগ্য এবং সহজ করে তোলা। কার্যত মামাদানির (Donald Trump_Zohran Mamdani) এই সৎ চেষ্টাকে কোনওভাবেই ফিরিয়ে দিতে পারলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও পড়ুন- নেই শুভমন, চিকিৎসা মুম্বইয়ে

ট্রাপের সঙ্গে বৈঠকের পরে মামদানি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তুলে ধরেন, কিভাবে নিউইয়র্ক শহরে বসবাসকারী একজন সাধারণ মানুষ ট্রেন বা বাসে চড়ার জন্য ২.৯০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারেন না। তাঁদের সেই জীবনযাত্রার মান কিভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যাতে এই মানুষেরা থাকতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি স্পষ্ট করেন মামদানি।

মামদানির এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টার কারণে কার্যত হার মারলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, আমার মনে হয় আপনাদের কাছে একজন খুব ভাল মেয়র এসেছেন। উনি যত কাজ করবেন, তত আমি বেশি খুশি হব। আর আমরা তাঁকে সাহায্য করব।

শুধু সাহায্যের প্রতিশ্রুতিই নয়, মামদানিতে খুশি ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে মামদানির আড়ষ্টতা কাটাতেও উদ্যোগী হলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা মামদানিকে প্রশ্ন করেন, তিনি কী এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলে মনে করেন? প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিলেন মামদানি। তা দেখে ট্রাম্পই উত্তর দিয়ে দেন। তিনি জানান, ঠিকই আছে। তুমি এর উত্তর হ্যাঁ দিতেই পারো। আমি কিছুই মনে করব না। এনাদের এভাবেই বোঝানো সহজ হবে। ট্রাম্পের বার্তায় স্পষ্ট, রাজনৈতিকভাবে দুই মেরুতে অবস্থানকারী ট্রাম্প ও মামদানি মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।

Latest article