নয়াদিল্লি: জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর) এবং সংলগ্ন এলাকার বায়ুর গুণমান ব্যবস্থাপনা কমিশন শনিবার গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান সংশোধন করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগুলিকে আরও কঠোর করেছে। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ক্রমাগত ‘খুব খারাপ’ শ্রেণিতে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ হল গোটা এনসিআর-এর জন্য একটি জরুরি প্রক্রিয়া, যা দিল্লির দৈনিক গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্তর এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস-এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। প্রতিকূল বায়ু-দূষণ পরিস্থিতিতে একাধিক অংশীদার, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে এটি সাহায্য করে। বিশদ বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন, অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা, বিশেষজ্ঞের সুপারিশ এবং বছরের পর বছর মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে তৈরি করা হয়েছে এই গ্যাপ।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে হয়তো এক গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান
দিল্লির ক্রমবর্ধমান দূষণের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত সময়সূচি অনুসারে, স্টেজ-২-এর বেশ কিছু ব্যবস্থা এখন স্টেজ-১ (বায়ু গুণমান ইনডেক্স : ২০১-৩০০, ‘খারাপ’)-এর আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, যানজটের স্থানগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করে ট্র্যাফিকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা, সংবাদপত্র, টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য দূষণ সতর্কতা জারি করা এবং সিএনজি ও ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা বাড়ানো ও অফ-পিক সময়ে ভ্রমণের জন্য উৎসাহ দিতে মেট্রো পরিষেবা ও ভাড়ায় তারতম্য এনে গণপরিবহণকে শক্তিশালী করা। যেসব ব্যবস্থা আগে স্টেজ-৩-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল, সেগুলিকে এখন স্টেজ-২ (বায়ু গুণমান : ৩০১-৪০০, ‘খুব খারাপ’)-এর আওতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরের সরকারি অফিস এবং পুরসংস্থাগুলির কাজের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা। এনসিআর-এর রাজ্য সরকারগুলি অন্যান্য জেলাগুলিতেও অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে পারে এবং কেন্দ্রীয় সরকারও দিল্লি-এনসিআর জুড়ে তাদের অফিসগুলির সময়সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারে। বাতাসের গুণমান এখনও ‘খুব খারাপ’ থাকার কারণে ব্যবস্থাপনা কমিশন এমন কিছু পদক্ষেপ প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে যা আগে স্টেজ-৪ (গুরুতর পরিস্থিতি)-এর জন্য সংরক্ষিত ছিল, সেগুলিকে স্টেজ-৩-এর অধীনে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এনসিআর এলাকায় সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলি ৫০% কর্মীর উপস্থিতিতে কাজ করবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। দূষণের ভয়াবহতা অনুমান করে কেন্দ্রীয় সরকারও তার কর্মীদের জন্য অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

