সংবাদদাতা, বর্ধমান : এসআইআর নিয়ে বাংলার বাউলশিল্পীদের দিয়ে প্রচার করানোর প্রয়োজন ছিল। তা হলে মানুষের মধ্যে এসআইআর-ভীতি বা দুশ্চিন্তা দূর হত। এই মত বঙ্গভূষণপ্রাপ্ত বাউলশিল্পী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাউল আকাদেমির সভাপতি কার্তিক দাস বাউলের। শনিবার বর্ধমানের উদয়চাঁদ গ্রন্থাগারে মণিকর্ণিকা সংস্থার উদ্যোগে একদিনের বাউল আঙ্গিকের বিশেষ কর্মশালায় যোগ দিতে এসে কার্তিকবাবু জানান, এসআইআর নিয়ে বাউলশিল্পীদের দিয়ে যদি ব্যাপকভাবে প্রচার করানো হত তাহলে অনেক ভাল হত। কারণ তাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে বেড়ান। তাঁদের কণ্ঠ এবং ভাষা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। উল্লেখ্য, প্রায়শই অভিযোগ ওঠে বাউলশিল্পীরা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তাঁদের প্রতিভা অচিরেই শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-ভ্রাম্যমাণ দুয়ারে স্বাস্থ্য : সূচনায় মন্ত্রী স্বপন
এদিন কার্তিকবাবু বলেন, বাউলশিল্পীদের নেশা থেকে দূরে থাকাই উচিত। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫৫ জন একদিনের এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বাউলগান কীভাবে গাওয়া উচিত তা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন কার্তিক দাস-সহ অন্যরা। কর্মশালায় ভাষণ দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মণ্ডল, লেখক কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, ড. সুমিত মজুমদার প্রমুখ।

