সাইবার অপরাধে অভিযুক্ত এক দম্পতিকে ধরতে তাঁদের পিছু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ঢুকে পড়ে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ (Garden Reach Police station)। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে নগরপাল মনোজ ভার্মার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। কাল, সোমবার সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও কয়েকজন বর্ষীয়ান বিচারপতির।
আরও পড়ুন-শিয়ালদহ উড়ালপুলের মেরামতির প্রস্তুতি শুরু
প্রসঙ্গত, ১৯ নভেম্বর অভিযুক্ত ওই দম্পতির পিছু নিয়ে গার্ডেনরিচ থানার পাঁচ পুলিশকর্মী ও অফিসার হাইকোর্ট চত্বরে ঢুকে পড়েন। ওই পাঁচ জনের মধ্যে একজন মহিলা। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাইবার অপরাধের যোগসূত্রে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে বন্দর এলাকার রাজাবাগান ও গার্ডেনরিচ থানায় দু’টি অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতি বহুদিন ধরে ফেরার বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজ পেয়ে তাঁদের পিছু নিয়ে ১৯ নভেম্বর বিকেলে পাঁচ পুলিশকর্মী ও অফিসার হাইকোর্টে ঢোকেন। অভিযুক্ত ওই দম্পতি তাঁদের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার সময় হাইকোর্টে পুলিশ ঢুকে পড়লে তাদের সঙ্গে বচসা হয় আইনজীবীদের। এর মধ্যে অভিযুক্তদের পিছু নিয়ে পুলিশ হাইকোর্টের ভিতরে ১৮ নম্বর বার পর্যন্ত চলে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ২০ নভেম্বর আইনজীবীরা হাইকোর্টে কর্মবিরতি পালন করেন, অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি চলবে বলেও জানিয়েছিলেন তারা। তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। হাইকোর্ট সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় শুক্রবার কাজকর্ম চালু করলেও বার অ্যাসোসিয়েশন আগামী বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক ডেকেছে।
আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে সরকারি স্কুলের কাছে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচজন পুলিশকে চিহ্নিত করে নগরপালের রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। শুক্রবার হেয়ার স্ট্রিট থানা ও তার অধীন হাইকোর্ট–ক্যাম্প এবং গার্ডেনরিচ থানার রিপোর্ট দেয় লালবাজার। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হাওড়া জেলা আদালতের একটি ঘটনায় পাঁচ আইপিএস–সহ ৮ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলে তার সমাধান এখনও পর্যন্ত হয়নি।

