কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাছে বড় চ্যালেঞ্জ আজ নির্বাচন কমিশনের দফতরে BLO-দের একাংশের বিক্ষোভ মিছিল। তবে দক্ষ হাতেই বিএলও-দের বিক্ষোভ সামলাতে রীতিমত তৎপর পুলিশ প্রশাসন। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মাঝেই কিছুটা হলেও উত্তপ্ত বিবাদী বাগ। বিএলও –দের কমিশন অভিযান কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু করে শেষ হয় বিবাদীবাগে। রাস্তায় নেমে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির অভিযোগ এসআইআর চাপ থেকে অসুস্থতার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। SIR- বন্ধের দাবিতে সোমবার নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে BLO অধিকার রক্ষা কমিটি। এরপর নির্বাচন কমিশনের দফতরে সামনে চলে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ। দেখা যায় কলেজ স্কোয়ার থেকে নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত SIR সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ নিয়ে তালা হাতে পৌঁছে যায় BLO অধিকার মঞ্চ। ঘটনাচক্রে এক বিএলও নির্বাচন কমিশনের অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে প্রতিহত করলে তিনি জানিয়ে দিলেন যেভাবে নির্বাচন কমিশন এতকিছু দেখার পরেও নিজেদের চোখে ও কানে তালা দিয়ে আছেন তাতে তাঁদের দফতরেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত। এরপরেই বিএলও-দের একাংশ দফতরের সামনেই ধরনায় বসে পড়েন।
আরও পড়ুন-বিহারে মাতৃদুগ্ধে ইউরেনিয়াম! শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, উদ্বেগজনক রিপোর্ট
প্রথম থেকেই বিএলও-দের অভিযোগ ছিল তাঁদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন কোন সঠিক নিয়মাবলী না দিয়েই ফোনের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশ আসছে। সঙ্গে ফর্মও ডিজিটালাইজ করতে হবে, যেটা করতে অনেকটাই সময় লাগছে। তার মধ্যেই থাকছে সার্ভারের সমস্যা। কমিশনের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন তারা কিন্তু সমাধান আসেনি। রাজ্যে এসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনওভাবে সময়সীমা বাড়ানো যাবে না। উল্টে জানিয়ে দেন ৪ ডিসেম্বর নয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে বিএলও-দের কাজ শেষ করতে হবে। এরপরই এদিন CEO দফতর অভিযানে নামেন বিএলও-দের একাংশ। তারা প্রশ্ন তোলেন এভাবে তাদের এই ধরণের কাজে ব্যস্ত রাখলে সামনেই যে সকল পড়ুয়াদের বার্ষিক পরীক্ষা তাদের পড়াশোনা একেবারেই করানো যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে অভিভাবকদের তরফেও।
আরও পড়ুন-দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর
আন্দোলনকারীরা এদিন স্পষ্ট করেই জানান তাঁরা একেবারেই SIR এর বিরোধিতা করছেন না। কিন্তু তাঁদের ওপর রীতিমত অমানবিক মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাই তারা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। কাজ করবেন না সেটা বলছেন না। কিন্তু এত কম সময়ে, সঠিক পরিকল্পনা না নিয়ে যেভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে তারই প্রতিবাদ করতে আজ রাজপথে তারা। শুধু বাংলার নয়, তারা জানিয়ে দিলেন গোটা দেশের বিএলওদের মৃত্যু নিয়েও তারা আজ সরব হচ্ছেন। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারী এক বিএলও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “বাকি রাজ্যে যেভাবে প্রশিক্ষণ হয়েছে, আমাদের সেভাবে হয়েছে? বাকি রাজ্যের পরিকাঠামোর সঙ্গে আমাদের রাজ্যের পরিকাঠামোকে তাহলে কেন তুলনায় আনা হবে ” এর মাঝেই বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বিএলও। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


