প্রতিবেদন : ফের একবার কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব নিলেন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর অতীন ঘোষ। একই সঙ্গে তাঁর হাতে থাকছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার চিরাচরিত ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া হোক কিংবা গত দু’বছরে করোনা মহামারী, শহরবাসীর সুরক্ষায় অতীন ঘোষের নেতৃত্বে তা কড়া হাতে মোকাবিলা করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। ডেপুটি মেয়রের পাশাপাশি এবারও স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই ন্যস্ত হয়েছে। এর আগে ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে টেস্ট, সবকিছুই করেছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন-অগ্নিকাণ্ডে কৈখালিতে মৃত বৃদ্ধ
এখনও মহামারী থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি তিলোত্তমা। গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো থাবা বসাতে শুরু করেছে ওমিক্রন। যদিও ওমিক্রন নিয়ে এখনও সেভাবে চিন্তিত নন বলেই জানালেন অতীন ঘোষ। তবে করোনা যেভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে, ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত হলে মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অতীন ঘোষ কাশীপুর-বেলগাছিয়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে পুরসভার পাশাপাশি বিধায়ক হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাঁকে। যদিও তিনি এটাকে কোনও চাপ হিসেবে মানতে রাজি নন। জানালেন, মানুষের জন্য কাজ করতে ভাল লাগে। সেটা আরও ভালভাবে করতে হবে।
আরও পড়ুন-কটাক্ষ কল্যাণের
নতুন করে আবার দায়িত্ব পেলেন পুরসভার। অতীন ঘোষ বলছেন, নতুন নয়, পুরনো দায়িত্ব নতুনভাবে। কী পদে আছেন, সেটা নিয়ে ভাবনা নয়। অনেক কাজ করতে হবে, এটা নিয়েই নতুন করে ভাবনাচিন্তা। দায়িত্ব ভাগ হওয়ার পর ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ থাকার সুবাদে নিজের ১১ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজিয়েছেন। মডেল ওয়ার্ডের রূপ দিয়েছেন। কিন্তু উন্নয়নের কোনও সীমারেখা হয় না। তাই আরও বেশি বেশি উন্নয়ন করতে হবে বলেই মনে করেন অতীন ঘোষ। নতুন পুরবোর্ড গঠিত হওয়ার পর কোন কাজটিকে অগ্রাধিকার দেবেন?
অতীন ঘোষের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার বস্তিবাসী মানুষের জীবন আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করার যে কথা বলেছেন, সেই কাজে অগ্রাধিকার দেওয়াই অন্যতম লক্ষ্য। কলকাতায় বস্তি থাকবে না। আর পাঁচজন মানুষ যেভাবে থাকে, বস্তিবাসীদের বসবাসের জন্য সেভাবেই আধুনিক ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে পুরসভার তরফে।”