প্রতিবেদন : এসআইআর সংক্রান্ত কাজে কোনওরকম শিথিলতা বরদাস্ত করবে না দল। একশো শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা দিতে হবে। সোমবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সময় বেঁধে দিয়ে বিধায়ক ও সাংসদদের আলাদা দায়িত্ব দিয়ে দিলেন তিনি। আগামী ৯ দিন একাধিক জেলায় পড়ে থেকে কাজ করবেন বিধায়করা। বিশেষ করে ফর্ম ফিলাপ, অ্যাপে তথ্য তোলার কাজ নিয়ে পরিষ্কার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বহু জায়গায় বিএলএ ২-এর কাজ নিয়ে সতর্ক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, নির্বাচনটা এখন আর ঘোষণার পর তিন মাসের নয়। এটা এখন ৬ মাসের। তাই এখন থেকে বাকি সব ভুলে দল যাকে যে দায়িত্ব দেবে সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। ১০ জন সাংসদের দল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে যাবে৷ তাঁরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এসআইআর পর্বে এখনও পর্যন্ত মৃত ৩৫ জনের কাগজ জমা দিয়ে কৈফিয়ত চাইবে।
আরও পড়ুন-ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ব্লক, বুথ ধরে নাম ধরে তথ্য দিয়ে সকলকে সতর্ক করেন অভিষেক। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার অনেক জায়গায় বিএলএ-২ রেজিস্ট্রেশন করছেন না। ফর্ম ভরা বা সাবমিট করার যে তৎপরতা দরকার সেটাও হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে এদিন সকালে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠক হবে মোহিত মঞ্চে। এদিনের বৈঠকে সতর্ক করে দিয়ে অভিষেক বলেন, যাঁরা মনে করছেন, তাঁদের ভোট হয়ে গেছে তাই অতটা গা না-লাগলেও চলে, তাঁরা ভুল করছেন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই দল আপনাদের ভোটের টিকিট দেবে।
সাংগঠনিক ভাবে এসআইআর-এর কাজ বেশ ভাল করেছে ধনেখালি, হরিপাল, সিঙ্গুর, করণদিঘি, তারকেশ্বর, বালি, গোয়ালপোখর, রঘুনাথগঞ্জ, চাকুলিয়া ও রায়গঞ্জ।
সবথেকে পিছিয়ে বালিগঞ্জ, বনগাঁ দক্ষিণ, বেলেঘাটা, এন্টালি, মধ্যমগ্রাম, কলকাতা পোর্ট, কাশীপুর বেলগাছিয়া, চৌরঙ্গী বিধানসভা।
অ্যাপে লগ ইন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা মেটাতে একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেটি হল
8142681426
আরও পড়ুন-প্রয়াত ধর্মেন্দ্র! শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অভিষেক বলেন, আইনগতভাবে আমরা লড়াই করছি। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে লড়াই লড়ছি। আমরা পার্লামেন্টেও লড়ব। লড়াইটা আপনাদের করতে হবে মাঠে-ময়দানে, মানুষের দরবারে, জনতার দরবারে।
কোথাও যদি ১০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা না হয় তবে তো আপনাদের সাড়ে সর্বনাশ হবে।
মনে রাখবেন, নির্বাচন কমিশন তো তিন মাস থাকবে। এরা লাল চোখ দেখাবে, তারপর নির্বাচনের পর দিল্লিতে ফিরে যাবে। বাংলা তো আর বিহার নয়। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে যাতে সবাই বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে।
আমি তো চ্যালেঞ্জ করেছি, যা করার করো তার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের আসন যা ছিল তার থেকে একটা হলেও বাড়বে। ভোট শতাংশ বাড়বে। এই কথাগুলো আপনাদের বাড়িতে-বাড়িতে বলতে হবে।

