সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : উন্নয়নের জোয়ার, জনমুখী প্রকল্প, সর্বোপরি জনভিত্তির জোরে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কুঁজোরও চিৎ হয়ে শোওয়ার ইচ্ছের মতো জনভিত্তি হারানো ছন্নছাড়া বিরোধীদের ইচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর। এই লক্ষ্যে নীতি–আদর্শ ভুলে বাম এবং কংগ্রেস হাতও মেলায়। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে শিলিগুড়ি পুরনির্বাচনে তারা জোট বেঁধে লড়বে বলে ঘোষণা করেছিল। সেটুকুও শেষমেশ হল না। ভেস্তে গেল বাম–কংগ্রেসের জোট।
আরও পড়ুন-বস্তি উচ্ছেদ নয়, উন্নয়নকে প্রাধান্য অতীনের
তাই শিলিগুড়িতে প্রতিটি ওয়ার্ডে এবার চতুর্মুখী লড়াই। আর যার অমোঘ পরিণতি যে তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসন সমঝোতা না হওয়ায় পৃথকভাবেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বাম ও কংগ্রেস। চারটে আসন ফাঁকা রেখে ৪৩টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে বামেরা। বামেদের শর্ত না মেনে কংগ্রেস ইতিমধ্যে ৩২টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে। প্রথমে ১৫টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেস এবং শুক্রবার বিকেলে আরও ১৭টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে জোটের কফিনে পেরেক ঠুকে দিল।
আরও পড়ুন-অগ্নিকাণ্ডে কৈখালিতে মৃত বৃদ্ধ
এখনও ১৩টি আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা বাকি আছে কংগ্রেসের। শনিবার সেই ১৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। অবাক করা বিষয় হল, কিছুদিন আগে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলে রুমা নাথ ও শিখা রায়। এঁরা দুজনেই এক সময় কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে আসেন। ফিরতেই রুমাকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করে শিখাকে। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা পর কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সাফ বলেন, জোটের আর কোনও সম্ভাবনা নেই।