ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন এবং বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে দেশের প্রতি পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও দেশবাসীর জন্য চাকরির ভাঁড়ার শূন্য। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানের অভাবে মোদি সরকারের আমলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারদের আত্মহত্যার প্রবণতা। তথ্য বলছে, শেষ ৪ বছরে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ। কর্মসংস্থানহীনতার ফলে আর্থ-সামাজিক বিপন্নতার এই ভয়াবহ ছবি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছে খোদ কেন্দ্রের সংস্থাই। ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি) র রিপোর্টে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের।
আরও পড়ুন-বিধানসভার ৪১ টি কমিটির চেয়ারম্যানদের জন্য বরাদ্দ হতে পারে ১০০ লিটার করে গাড়ির তেল
সম্প্রতি এনসিআরবি-র তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে বেকারত্বের কারণে দেশে ২,২৯৮ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২,৮৫১। মধ্যবর্তী সময়ে ২০১৭ সালে ২,৪০৪ এবং ২০১৮ সালে ২,৭৪১ জন বেকার আত্মঘাতী হন। শুধু তাই নয়, বেকারত্বের জেরে আত্মহত্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটক। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, এই রাজ্যে এক বছরে আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৫৩ জন। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। ২০১৯ সালে এই রাজ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা ৪৫২। এরপর তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে তামিলনাড়ু (২৫১), ঝাড়খণ্ড (২৩২) এবং গুজরাত (২১৯)। তুলনামূলক অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৯ সালে বাংলায় আত্মহত্যার ঘটনা মাত্র ৪০।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে ৯ বছরের বালিকাকে গণধর্ষণ-খুন, শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে বলে বিজেপির তরফে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা হলেও আদতে ছবিটা আলাদা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগেই মোদি জমানায় বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছিল ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায়। প্রতিবারই পরিস্থিতি তা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এবার খোদ কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টই ফাঁস করল করোনাপূর্ব পরিস্থিতিতে দেশে বেকারত্ব ও তার কারণে আত্মহননের ভয়াবহ ছবি।