প্রতিবেদন : জাতীয় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে এবার জোরালো প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র শ্লেষ দেগে অভিষেক বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন সত্যিই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার কথা বলে, তবে মাত্র পাঁচজনের বদলে ১০ জন সাংসদের সঙ্গে আলোচনা করতে আপত্তি কোথায়? ১০ জনের মুখোমুখি হতে এত ভয়! আমরা স্রেফ পাঁচটি প্রশ্নের জবাব চাই। সেই স্বচ্ছ প্রশ্নের জবাব দিয়ে নির্বাচন কমিশন কি তার স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে ইচ্ছুক, নাকি তারা শুধু কেবল বন্ধ দরজার পিছনে কাজ করে? অভিষেক কটাক্ষের সুরে বলেন, সরকারের তরফে মনোনীত সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সাংসদদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন! তৃণমূল প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে মাত্র পাঁচটি স্পষ্ট প্রশ্ন রাখতে চায়। তার জবাব দিতে চাইলে বিরোধীদের সামনে লুকোনোর প্রয়োজন নেই।
নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee) খোলা চ্যালেঞ্জ, বৈঠক যদি সত্যিই খোলামেলা হয়, তবে সেটি সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করা হোক। যাতে গোটা দেশবাসী পুরো প্রক্রিয়াটি দেখতে পান।
আরও পড়ুন: কেউ তাড়াতে পারবে না: বনগাঁয় আশ্বাস তৃণমূল সুপ্রিমোর, ‘মতুয়া কার্ড’ নিয়ে সতর্কবার্তা
কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ১০ জন সাংসদকে নিয়ে যেতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল কমিশনকে। কিন্তু কমিশন তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে ২৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় তৃণমূলের পাঁচজন প্রতিনিধিকে আসতে বলেছে। এদিকে, মঙ্গলবার ফের তৃণমূল চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। দশ জন প্রতিনিধিকে কমিশনের সাক্ষাতের অনুমতি দিতে হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে তৃণমূল কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান সাংসদ জানিয়েছেন, আমরা নিশ্চয়ই ললিপপ চুষব না।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ২৩ নভেম্বর চিঠি পাঠিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করার আবেদন জানান। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে পরপর দুটি সতর্কতামূলক চিঠি লেখেন। তারপর নড়েচড়ে বসে কমিশন। প্রতিনিধিদের আসতেও বলা হয়।

