নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন প্রধান শিক্ষকের, স্কুল ক্যাম্পাসেই আত্মহত্যা করল নবম শ্রেণির পড়ুয়া

একটি বেসরকারি স্কুলে এই লজ্জাজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। আঙুল উঠেছে রাজ্যে বিজেপি প্রশাসনের অপদার্থতার দিকে।

Must read

রায়পুর: শুধুমাত্র একটা প্রশ্নই উসকে দেয় এই ঘটনা—এ লজ্জা রাখব কোথায়? আবারও এক ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হল বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে নিজেকে শেষ করে দিল ১৫ বছর বয়সের এক ছাত্রী। স্কুলের স্টাডিরুম থেকে উদ্ধার করা হল নাবালিকা ওই পড়ুয়ার দেহ। নিজের শাড়ি গলায় জড়িয়ে ঝুলতে দেখা যায় নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে, রবিবার রাতে। সুইসাইড নোটে সে সরাসরি শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানিয়েছে, প্রায়ই প্রধান শিক্ষক যৌন নির্যাতন চালাত তার উপরে।

আরও পড়ুন-মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার অসাধ্যসাধন বাঁকুড়া সম্মিলনীর ডাক্তারদের

বাগিচা থানা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে এই লজ্জাজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। আঙুল উঠেছে রাজ্যে বিজেপি প্রশাসনের অপদার্থতার দিকে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়ে। উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্কুলের সামনে। বিক্ষোভ হয় পুলিশের বিরুদ্ধেও। প্রথমদিকে টালবাহানা করলেও ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ এবং জনরোষের চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কুলদীপন টোপনোকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের অফিসাররা তো অবাক। দেখা গেল, ওই স্কুলের ক্যাম্পাসে হস্টেলের কোনও অনুমতিই ছিল না। অথচ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মোট ১২৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২২ জন ছাত্র এবং ১১ জন ছাত্রী থাকত ওই বেআইনি হস্টেলেই। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, গেরুয়া সরকারের শিক্ষা দফতর কি কিছুই জানত না? নাকি সব জেনেবুঝেও চুপ করেছিল শাসক বিজেপির চাপে? লক্ষণীয়, নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি পাশের জেলা সুরগুজায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তার থাকার ব্যবস্থা করেছিল ওই হস্টেলেই।

Latest article