প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এই রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। শনিবার নববর্ষের সকালে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের ১০ জন মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিধায়করা আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ওই সমস্ত মন্ত্রী ও বিধায়কদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ নেওয়া চলছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির মিথ্যাচারে মতুয়াদের মোহভঙ্গ
মহারাষ্ট্রে করোনা এবং ওমিক্রনের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে কি রাজ্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে? এই প্রশ্নের উত্তরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার বলেন, যদি দেখা যায় আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে তা হলে সরকার হয়তো নতুন করে আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাববে। তবে এখনই নতুন কোনও বাড়তি বিধিনিষেধ বলবৎ করা হচ্ছে না। বর্তমানে যে সমস্ত বিধিনিষেধ আছে সেগুলি সকলকেই কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। রাজ্যবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন-উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোট চাইবেন প্রার্থীরা
ভারতের যে-সব রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে ঊর্ধ্বগামী তার মধ্যে অন্যতম হল মহারাষ্ট্র। ওমিক্রন-আক্রান্তের নিরিখেও শীর্ষে আছে এই রাজ্য। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৫ হাজারেরও বেশি। বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। মানুষ যাতে বর্ষবরণের উৎসবে অবাধ মেলামেশা না করে তার জন্য আগেই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তারপরেও পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে।