পরিকল্পিত হত্যা, অভিযোগ মৎস্যজীবীর পরিবারের

Must read

সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার মূক ও বধির মৎস্যজীবী বাবুল দাসের (২৫)। কিন্তু ওপার বাংলা থেকে দেহ বাড়িতে ফিরতেই পরিবারের চোখে পড়ল মৃতদেহের গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সরকার হত্যা করেছে বাবুলকে। বাবুলের ভাইয়ের অভিযোগ, দাদার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারত সরকারের কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার। কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার মৎস্যজীবী বাবুল সংসারের অভাবের কারণে চার মাস আগে মা মঙ্গলচণ্ডী ট্রলারে করে গিয়েছিল গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারে। সেখানে আন্তর্জাতিক জল সীমানা অতিক্রম করার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে আটক করে। বাবুল মূক ও বধির। গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবুলের। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বাবুলের পরিবার। প্রথম থেকেই বাবুলের পরিবারের দাবি ছিল, বাবুলের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে না। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য হন্যে হয়ে ঘোরাঘুরি করেছে বাবুলের পরিবার। অবশেষে ১৪ নভেম্বর বাবুলের দেহ বাড়িতে পৌঁছায়। কিন্তু দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখেই সন্দেহ আরও তীব্র হয় পরিবারের। তাঁরা যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় শীতের আমেজ

Latest article