নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের দায়ের করা মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সাফ জানিয়ে দিল, দরকারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়াতে হবে। এই নির্দেশ দিতে পারে শীর্ষ আদালত। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বুধবার এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, যদি দরকার মনে করি, তাহলে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমা আমরা বাড়ানোর নির্দেশ দিতেই পারি। সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিল কমিশন যদি বাস্তব পরিস্থিতি না বুঝে তাড়াহুড়ো করে তবে তা নজর এড়াবে না আদালতের। শীর্ষ আদালতের এই কড়া অবস্থানের পরে আর কোনও বাক্যব্যয় করতে পারেননি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন-২ কোটি আধার নম্বর বাতিল
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুরুতেই উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা। বিএলওদের উপর যে অস্বাভাবিক কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নজরে আনা হয় শীর্ষ আদালতের। উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গে বিএলওদের আত্মহত্যার প্রসঙ্গও। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এজলাসে জানান, যে সময়সীমার মধ্যে এসআইআর করা হচ্ছে তাতে বিএলওদের উপর অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হচ্ছে। যা পরিণতি আত্মহত্যার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্রধান বিচারপতি বাংলা এসআইআর সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন এদিন।
আরও পড়ুন-মোলিনা বিদায়, কোচ লোবেরা, রবিবার মোহনবাগানের অনুশীলন শুরু
উল্লেখ্য, বাংলার পথ অনুসরণ করে তামিলনাড়ু, কেরালার মতো রাজ্য ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে দ্বারস্থ হয়েছে শীর্ষ আদালতের। আদালতে এসেছে অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি পক্ষ। এসআইআর-এর প্রক্রিয়া ও সময় নিয়ে আপত্তি জানিয়েই দায়ের হয়েছে বহু মামলা। অধিকাংশ মামলাকারীরই বক্তব্য, বড্ড তাড়াহুড়ো করে এসআইআর পরিচালনা করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরই জেরে হচ্ছে ভুল, খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন প্রচুর বৈধ ভোটার। একইরকমভাবে কাজের চাপে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন বিএলওরা।

