লখনউ: আবার কাজের চাপে আত্মহত্যা বিএলওর। এবারে যোগীরাজ্যে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, নির্বাচন কমিশনের অপমান এবং হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে বিয়ের আগের দিনই নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। বুধবারই ছিল বিএলও সুধীর কুমারের (২৫) বিয়ে। আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা পরিবার। আসতে শুরু করেছিলেন আত্মীয়রাও। কিন্তু নতুন জীবনে পা রাখার শুভক্ষণের আগেই সব শেষ। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতেই পাওয়া গেল তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ।
আরও পড়ুন-এসআইআর মামলায় কড়া হুঁশিয়ারি নির্বাচন কমিশনকে
বিয়ের আনন্দ এক মুহূর্তে পরিণত হল বিষাদে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মৃতের পরিবার। কিন্তু কেন, বিয়ের আগের দিনই এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন এই তরুণ বিএলও। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার এস আই আর সংক্রান্ত কাজে মিটিঙে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিয়ের প্রস্তুতির জন্য সেই মিটিং-এ যেতে পারেন নি তিনি। সেই কারণে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। এক আধিকারিক এসে জানিয়ে যান, সাসপেন্ড করা হয়েছে বিএলওকে। পেশায় ক্লার্ক এই ঘটনায় মানসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। কমিশনের এমন অমানবিক সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
লক্ষণীয়, কমিশনের অমানবিক আচরণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বিএলওর অকালমৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বাংলা, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্য। কেউ কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। কারও মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে, কেউ বা আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। বুধবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেণ বেশ কয়েকজন বিএলও। এরমধ্যে রয়েছেন বাংলারও এক বিএলও। লক্ষণীয় মাত্ররিক্ত কাজের চাপে মোদিরাজ্যে একদিন আগেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ বছর বয়সের বিএলও ডিঙ্কল শিংগোদাওয়ালার।

