সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম পুরসভায় চেয়ারম্যান বদলকে ঘিরে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যেই বুধবার শহরে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাত, জেলা সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী, বিভিন্ন ব্লক ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব এবং তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাত। পুরসভা স্তরে নেতৃত্ব বদলের পর দলের ভিতর মনোমালিন্য বাড়ছে এই জল্পনার মধ্যেই এই বৈঠককে কৌশলগতভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-কমিশনের হেনস্থা, বিয়ের আগের দিনই যোগীরাজ্যে আত্মঘাতী তরুণ বিএলও
সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট বার্তা দেন, তৃণমূল একটাই দল। কোনও ভগ্নাংশ নেই। দল যা ভাল বোঝে, সেটাই করবে। মনোমালিন্য থাকতে পারে, মতান্তর নয়। দলীয় সিদ্ধান্তই শেষ কথা। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে, বিধানসভা ভোটে শাসকদলের ওপর চাপ বাড়ছে কিনা প্রশ্নে চন্দ্রিমার জবাব, বিজেপি ফুস করে উড়ে যাবে। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়াদের বিভ্রান্ত করেছে বিজেপি, আদিবাসীদের জন্য কেন্দ্র কোনও কাজ করেনি। আবাস থেকে একশো দিনের কাজ, আদিবাসীদের সব টাকাই আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সংগঠনের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, পুরসভার রাজনৈতিক সমীকরণ এবং ভোটের প্রস্তুতি সমান গুরুত্বে আলোচিত হয় বৈঠকে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮২ শকাংশ এমুনারেশন ফর্ম জমা দিয়ে ঝাড়গ্রাম রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চন্দ্রিমা জানান, ঝাড়গ্রামে অনেকের স্মার্টফোন না থাকায় বিএলওরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করছেন। তবুও একশো শতাংশ ফর্ম জমা হতেই হবে। ‘দিদির দূত’অ্যাপে তা আপলোড হলে আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারব। কারও বাদ পড়া চলবে না। সব মিলিয়ে বুধবারের বৈঠক ছিল তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

