সংবাদদাতা, ভগবানপুর : বিজেপির চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লক এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের এসআইআর-চক্রান্তের বিরোধিতা এবং গদ্দার অধিকারীর সভার পাল্টা জবাব দিতে মিছিল ও পথসভার আয়োজন করে ব্লক তৃণমূল। প্রথমে মুগবেড়িয়া ব্যাঙ্ক মোড় থেকে মাধাখালি ব্রিজ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হয়। এরপর সেখানেই ভিড়ে ঠাসা পথসভায় দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে একাধিক বার্তা দিয়ে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি চোখ রাঙালে তার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান। কারণ এটা আমার দেশ, এটা আমার বাংলা। এখানে কোনও বিভেদ, চক্রান্ত চলে না। বিজেপির নেতারা ইডি-সিবিআই দিয়ে যতই হেনস্থার চেষ্টা করুক মানুষের পাশে সব সময় তৃণমূল আছে। বিজেপি আছে শুধু মিডিয়া আর ইডি-সিবিআইয়ে। ফলে ওদের স্থান এই বাংলায় হতে পারে না।
আরও পড়ুন-শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক মন্ত্রী চন্দ্রিমার
বিজেপিকে তুলোধোনা করে এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে আগে কোনওদিন এত নিম্নমানের বিরোধী দল আসেনি। এত অল্প সময়ের মধ্যে এসআইআরের আমরা বিরোধিতা করছি, কারণ এতে অনেক বৈধ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। কিন্তু অপরদিকে দায়িত্ব পালনের জন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিটি বুথে বিএলএ ২ নিয়োগ করেছি। গদ্দার বলছে নাকি এক কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে। এরা কারা? যেভাবে গর্ব করে বলছে তাতে প্রমাণিত হয় এরাই বাংলা-বিরোধী। তাই এদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে হবে। তিনি আরও বলেন, ২১- এর ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা হেলিকপ্টারে করে দফায় দফায় এসেছিলেন। সমস্ত মিডিয়াকেও কিনে নিয়েছিল ওরা। আমাদের নেতাদের মিথ্যে মামলা দিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের সাহায্য নিয়ে জেলে ভরেছিল। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ লাগিয়েছিল। একটা নির্বাচনে জেতার জন্য যতরকম বাজে কৌশল থাকে সবই নিয়েছিল। ভেবেছিল, এতেই বাংলা দখল করে নেবে। এই পরিস্থিতিতে বাক্স গুছিয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিল গদ্দার অধিকারী। ওরা বলেছিল, ২০০ পার করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ ২০০ আসনে বিজেপিকে হারিয়ে প্রমাণ করে দেন তাঁরা তৃণমূলের পাশেই আছেন। তাই বিরোধী দলনেতা দিল্লি গিয়ে কলকাঠি নেড়ে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিল। একশো দিনের কাজে আমাদের বাংলা সেরার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। সেটা বিজেপির বাবুদের সহ্য হয়নি। তাই এভাবে বাংলার মানুষের পিঠে ছুরি মেরেছে। ওরা বাংলার মানুষের কাজের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এদিন মিছিল ও সভায় ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষ পণ্ডা, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ জালাউদ্দিন, জেলা পরিষদের মানব পড়ুয়া-সহ অন্যরা।

