প্রতিবেদন : অপরিকল্পিত এসআইআরের জেরে মারা গিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অসুস্থ হচ্ছেন আরও অনেকেই। সাধারণ মানুষ থেকে বিএলও— ছাড় নেই কারও। বৃহস্পতিবারও কলকাতার রাসবিহারীতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিএলও। এদিনই মেদিনীপুরে মারা গিয়েছেন শ্যামল বসু নামের ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি দীনেন রায়ের বিধানসভা যমুনাবালি বুথে দিঘির পাড়ের বাসিন্দা। অস্বাভাবিক কাজের চাপ। শেষ হয়ে আসছে নির্ধারিত সময়সীমাও। তার মধ্যে কাজ করছে না কমিশনের অ্যাপও। লাগাতার প্রচণ্ড কাজের চাপে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন রাসবিহারী বিধানসভার ৯৩ নং ওয়ার্ডের ২৫৬ নং পার্টের বিএলও প্রদীপ ভুক্তার। এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটালাইজেশনের কাজ করতে করতে এদিন দুপুরে আচমকাই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তৃণমূলের বিএলএ-২ ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমি দাসের তৎপরতায় অসুস্থ বিএলওকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিএলওকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-বাংলার মতো অন্য রাজ্যে এসএসসি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে না : ব্রাত্য
কিন্তু চিকিৎসকেরা অসুস্থ প্রদীপ ভুক্তারকে আগামী কয়েকদিন সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। হাসপাতালে কমিশনের তরফে অসুস্থ বিএলওকে দেখতে আসেন এক পদাধিকারী। তাঁদের সঙ্গে হাসপাতালে আসা অসুস্থ বিএলও-র সুপারভাইজারের ঝামেলা বাধে। অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের মধ্যেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। ওদিকে, বুধবার থেকেই অকেজো হয়ে রয়েছে কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ। ফলে এনুমারেশন ফর্মের তথ্য অ্যাপে আপলোডের কাজ এগোচ্ছে না। বিএলওদের অভিযোগ, বুধবার থেকে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে এসআইআর কাজে ব্যবহৃত অ্যাপ। ফলে তথ্য আপলোড কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে।

